আশরাফুল ইসলাম, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট শাহ আজগর আলী ডিগ্রি কলেজের ২য় বর্ষে ছাত্র। শারীরিক প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলম (১৯) । দরিদ্রতার কারনে তাকে পাঠ্যবই কিনে দিয়েছিলেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক। কিন্তু সেই বইগুলো পানিতে ছুড়ে ফেলে নষ্ট করেছে প্রতিপক্ষরা। ফলে লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে তার। ২৯ আগস্ট শনিবার দুপুরে সাদুল্লাপুর উপজেলার ফরিদুপুর ইউনিয়নের নয়ানপুর গ্রামে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় সুত্রে ও পারিবারিকভাবে জানা যায়, নয়ানপুর গ্রামের বাতাস আলীর সঙ্গে একই গ্রামের প্রতিবেশী এন্তাজ আলীগংদের জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি এরই জেরে বাতাস আলীর বসতবাড়িতে হামলা চালায় প্রতিপক্ষরা। এতে ঘরের বেড়া ভাঙচুর করাসহ জাহাঙ্গীরের লেখাপড়ার প্রয়োজনীয় বইখাতাগুলো একটি খালের পানিতে ছুড়ে ফেলা দেয়। ফলে এ ঘটনার পর থেকে প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলম অর্থাভাবে পাঠ্যবই-খাতা কিনতে না পেরে বন্ধ রয়েছে তার লেখাপড়া। এ ঘটনার শিকার প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হলেও, সেটির কোন তদন্ত কিংবা ন্যায় বিচার পাইনি। তিনি আরো জানায় , কলেজে ভর্তি হবার পর অর্থাভাবে বইখাতা কিনতে পারছিলাম না। এমতাবস্থায় গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে যাবতীয় বইখাতা কিনে দেন। যা দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে আসছিলাম। ফের প্রতিপক্ষরা ওই বইখাতাগুলো পানি ছুড়ে নষ্ট করে ফেলেছে। এমতাবস্থায় বইখাতা কিনতে না পেরে বন্ধ রয়েছে লেখাপড়া । এনিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ এন্তাজ আলীগংদের সঙ্গে যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও, তাদের পাওয়া যায়নি। বা তারা এবিষয়ে কেউ কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
এঘটনাটির বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন বলেন, জাহাঙ্গীরের অভিযোগ পেয়েছি। এটি তদন্তাধীন রয়েছে।এছাড়া জাহাঙ্গীর আলমকে দুটি বই কিনে দেওয়া হয়েছে।