স্বাধীন দেশ নিয়ে কণ্ঠযোদ্ধাদের ভাবনা

প্রকাশঃ ২০১৯-০৩-২৬ - ১৫:০১

ঢাকা অফিস : মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার ৪৮ বছরে এসে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা কী ভাবছেন দেশ নিয়ে? বুক ভরা আশা আর সাহস নিয়ে যারা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মাতৃভূমিকে হানাদারমুক্ত করতে, তাদের সেই স্বপ্নের কতখানি পূরণ হয়েছে আজ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এতগুলো বছর পেরিয়ে এসে দেশের সার্বিক অবস্থা নিয়ে তাদের ভাবনাই-বা কী?

পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহে এদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়েছে। তারপরও বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। এসেছে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা, বাড়ছে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।

গত ৪৭ বছরে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিয়ে আশ্বান্বিত মুক্তিযুদ্ধের কন্ঠযোদ্ধারাও। স্বপ্ন দেখছেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার বাস্তবায়নের।

কন্ঠযোদ্ধা বুলবুল মহলানবীশ বলেন, ‘অর্থনৈতিক অবস্থা ক্রমশ উন্নতির দিকে যাচ্ছে। যে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীন হয়েছি সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করা হচ্ছে; এ কথাটা স্বীকার করতে যে, বাংলাদেশকে এখন অন্তত অনুসরণ করতে হবে’ অনুকরণ করতে হবে অন্তত আগামী দশ বছর। এটা আমাদের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তির বিষয়।’

এই অগ্রযাত্রার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ তরুণ প্রজন্ম গড়ে তোলার কথা জানালেন শিল্পসংস্কৃতি অঙ্গনের এসব মানুষ। কন্ঠযোদ্ধা তিমির নন্দী বলেন, ‘যে ভাবে উন্নতির শিখরে দিনে দিনে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এর ধারাবাহিকতা যদি বজায় থাকে তাহলে আগামীতে আমরা উন্নত দেশে পরিণত হবো। সেই সঙ্গে, সবাই অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে।’

রাজনৈতিক বা মতাদর্শগত বিভেদের ফাঁদে না পড়ে সবার মিলিত শক্তি আর পরিশ্রমে দেশ গড়তে তরুণ প্রজন্মের কাছে আহ্বান জানান তারা।

আরেক কন্ঠযোদ্ধা সুজেয় শ্যাম তাঁর মতামত ব্যক্ত করতে যেয়ে কিছুটা উষ্মা প্রকাশ করেন ৭৫ পরবর্তী দেশের অবস্থা নিয়ে। তিনি বলেন, ‘কোথায় আমার মুক্তি যোদ্ধা ভাইয়েরা। ৭৫-এর পর কিসের লালসায় সব উলোট-পালট হয়ে গেল। রাজাকারকে আমরা দোষ দেই, ওরা তো ভাগ হয় নি। আমরা কেন ছয়-সাতটি দলে বিভক্ত হলাম।’

সেই সঙ্গে তারা স্বপ্ন দেখেন একদিন দেশপ্রেমের কাছেই হার মানবে দুর্নীতি, স্বার্থের দ্বন্দ্ব, সব অশুভ শক্তি। ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা বাংলাদেশ হবে বিশ্বের রোল মডেল।

কন্ঠযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ সবাইকে সত্যের সাথে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের লোভকে সম্বরণ করতে হবে। এ জন্য সহ্য এবং ধৈর্য খুবই দরকার। সবাইকে সত্যের সাথে থাকতে হবে।’