ঢাকা অফিসঃ চূড়ান্ত হয়েছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির তালিকা। অপেক্ষা কেবল শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির অনুমোদনের। তিনি অনুমোদন দিলেই তা ঘোষণা করা হবে। জানা গেছে এক সপ্তাহের মধ্যেই এ ঘোষণা আসতে পারে। সূত্র জানায়, এমপিওর চূড়ান্ত তালিকা নিয়ে আগামী সপ্তাহে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্যরা। এ বৈঠকের পরই তালিকাটি সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের অনুমোদনের জন্যও পাঠানো হবে। সেখানেই চূড়ান্ত হবে তালিকা। মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নীতিমালার কঠোর শর্তের কারণে যেন সুবিধাবঞ্চিত বা অনগ্রসর হাওর বাওড়, বিল অঞ্চল, নারী শিক্ষাসহ বিভিন্ন এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাদ না পড়ে, সেই বিষয়টি বিবেচনায় রেখে নীতিমালার কোনো কোনো শর্ত শিথিল করা হতে পারে। এ ছাড়া নীতিমালার শর্তেন কারণে যেসব উপজেলায় কোনো প্রতিষ্ঠান যোগ্য বলে চিহ্নিত করা যায়নি, সেসব উপজেলায় অন্তত একটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে শর্ত শিথিল করে হলেও। এসব ক্ষেত্রে সরকারের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের সিদ্ধান্ত ও অনুমোদন নেয়া হবে। বর্তমানে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ২৬ হাজারের বেশি। এগুলোতে কর্মরত প্রায় ৫ লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর প্রতি মাসে বেতন ও কিছু ভাতা সরকার দিয়ে থাকে। এমপিওভুক্তি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি কর্মসূচি। এখনো শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষাবোর্ড স্বীকৃতিপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে সাড়ে ৫ হাজারের মতো। এখানে কর্মরত রয়েছেন প্রায় ৮০ হাজারের মতো শিক্ষক-কর্মচারী। গত বছরের জুলাইয়ে জারি করা এমপিও নীতিমালা অনুসারে, এমপিওর জন্য যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হয়েছে ২ হাজার ৭৬২টি। এর মধ্যে বিদ্যালয় ও কলেজ ১ হাজার ৬২৯টি, মাদরাসা ৫৫১টি ও কারিগরি প্রতিষ্ঠান ৫৮২টি। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এসব প্রতিষ্ঠানের কয়টিকেই এবার এমপিওভুক্ত করতে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে মন্ত্রণালয়। এর বাইরে রাজনৈতিক বিবেচনায় আরো কিছু প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দেয়া হবে। সর্বমোট ৩ হাজার প্রতিষ্ঠানকে এমপিও দিতে প্রস্তুতি রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাহমুদন্নবী ডলার মুঠোফোনে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের বিনীত অনুরোধ স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব কয়টি প্রতিষ্ঠানকেই যেন এমপিওর আওতায় নেয়া হয়। কারণ ২৫-২৬ বছর ধরে বহু শিক্ষক বিনা বেতনে চাকরি করছেন। তাদের বয়স প্রায় শেষের দিকে। এমপিও না মিললে এসব শিক্ষক পরিবার পরিজন নিয়ে ভয়ানক ক্ষতির মুখে পড়বেন।’
এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ) সালমা জাহান বলেন, এমপিওর জন্য তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বসব। মন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই দু-এক দিনের মধ্যে এমপিওর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।