যশোর: হামলার ঘটনায় কোর্টে মামলা করতে যেয়ে আবারও হামলার শিকার হয়েছেন লিপি খাতুন (২১) নামে এক নারী। আশংকাজনক অবস্থায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি যশোর চৌগাছা উপজেলার মাশিলা গ্রামের মৃত হানিফ আলীর মেয়ে। বর্তমান তিনি শহরের মাইকপট্টির ভাড়া বাড়িতে থাকেন।
আহত লিপি খাতুন জানিয়েছেন, তার মামা শাহাজালালকে পুলিশে চাকরি দেবার কথা বলে স্থানীয় ওমর ফারুক নামে এক দালাল ৫লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। দালাল ওমর ফারুক চাকরি দিতে ব্যর্থ হলে শাহাজালালের পরিবার পওনা টাকা দাবি করে আসছিলো। এতে দালাল ওমর ফারুক ও শাহাজালালের পরিবারের বিরোধ হয়। ১ তারিখ দালাল ওমর ফারুককে পুলিশে আটক করে। পরে দালাল ওমর ফারুক পুলিশকে মোটা আংকের টাকা দিয়ে ওই দিন মুক্তি পায়। বৃস্পতিবার সকালে লিপি খাতুন যশোর থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন পথিমধ্যে চুড়ামনকাটি বাজরে আসলে দালাল ওমর ফারুকের নের্তৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত তাকে গতিরোধ করে। তার সন্দেহ লিলি খাতুন তাকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছে। কথাকাটাকাটির এক পর্যায় দৃর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে কাছে থাকা মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতলে ভর্তি থাকলে লিপি বেগমকে মোবাইলে হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়ে আসছিলো ওমর ফারুক সিন্ডিকেট। ২ মার্চ তিনি প্রাণ বাঁচতে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। ৪ মার্চ দুপুরে লিপি খাতুন ওমর ফারুক গংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করতে কোর্টে আসেন। এ সময় কোর্টের গেটে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্ত ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ৪/৫ জন লিপি বেগমকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মাথা ফাঁটিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহত লিপি বেগমের অভিযোগ, এখনো মামলা না করার জন্যে ওমর ফারুক তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। একাধিক বার তাকে হাসপাতালে হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন তিনি।