আবু হোসাইন সুমন, মোংলা : মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া এলাকায় ৭শ ৭৫ মেট্টিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া এম,ভি বিলাস কার্গো জাহাজ উদ্ধারে কোন ধরণের তৎপরতা তিন পেরিয় যাওয়ার পর ৪র্থ দিনেও শুরু হয়নি। দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে এখনও পর্যন্ত পৌছায়নি কোন উদ্ধারকারী যান ও টিম। মালিকপক্ষের ডুবন্ত জাহাজ উদ্ধারে তৎপরতা তো নেইই তারপরও জাহাজের রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেস ও সার্ভে রিপোর্টের কাগজপত্র চাওয়ার পরও তা বনবিভাগকে সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বনবিভাগের। মালিকপক্ষ এ সকল কাগজপত্র না দিয়ে বনবিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রেখেছেন। যার ফলে ডুবন্ত জাহাজ ও জাহাজের ভিতরের কয়লা উদ্ধার কাজের বিষয়টিও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে ডুবন্ত জাহাজটি উদ্ধারের জন্য বুধবার সকালে একটি বার্জ, একটি বলগেট ও একটি ড্রেজার মোংলায় এসে পৌছেছে বলে দাবী করেছেন ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের ড্রাইভার মো: আমির হোসেন। তিনি বলেন, উদ্ধারকারী এসব জলযান ও ডুবরিদের নিয়ে বুধবারই উদ্ধার কাজ শুরু করা হবে। মালিকপক্ষের প্রতিনিধি মো: দুলাল বলেন, উদ্ধার কাজ পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় জলযান ও যন্ত্রপাতি প্রস্তুত করা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করা হবে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: মাহামুদুল হাসান বলেন, বুধবার সকালেও দুর্ঘটনাকবলিত স্থানে মালিকপক্ষের কোন লোকজন ও উদ্ধারকারী নৌযান কিছুই দেখা যায়নি। তারা এখনও পর্যন্ত উদ্ধার কাজ শুরু করেনি। তারা আমাদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে গড়িমসি করছে। ডুবন্ত জাহাজটির কাগজপত্র চাওয়া হলেও তা তারা দিচ্ছে না। এজন্য মঙ্গলবার রাতে বিআইডব্লিউটিএর কাছে জাহাজটির প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। এগুলো পাওয়া গেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সব কাগজপত্রের মধ্য থেকে যদি জাহাজের ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকে তাহলে জাহাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বনবিভাগের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে। কারণ ফিটনেসবিহীন জাহাজ সুন্দরবনে প্রবেগে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া চাদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: শাহিন কবিরের মঙ্গলবার রাতে বিভাগীয় কার্যালয়ে দাখিল করা প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে কার্গো জাহাজের মাষ্টারের অজ্ঞতা, অবহেলা ও খামখেয়ানীপনার কারণে জাহাজটি চরে আটকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।