তাপস বিশ্বাস, ফুলতলা থেকে: মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক (এমপি) বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম যদি না হতো তবে দেশে মুক্তিযুদ্ধ তথা দেশ স্বাধীন হতো না। মুক্তিযোদ্ধারা এদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। দেশে সচিব, ডিসি, এসপি, এমপি, মন্ত্রী হওয়া সম্ভব কিন্তু কারো পক্ষে আর মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সম্ভব নয়। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একে একে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রতিটি গ্রামে পাকা রাস্তা নির্মান হচ্ছে, আগামী জুন মাসের মধ্যে শতভাগ পরিবার বিদ্যুতায়নের আওতাভুক্ত হবে। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র বিমোচন, বিশ্বের একমাত্র বাংলাদেশেই বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই পৌঁছে দেয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আর সার্টিফিকেট নির্ভর হতে হবে না। ওয়েব সাইটের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, বেতন ভাতা, পোষ্য কোটা, চাকুরীসহ সকল সুবিধা পাওয়া যাবে। আগামী ঈদের আগেই প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধা সাড়ে ৩২ হাজার টাকা উৎসবভাতা ও ৩মাসের ভাতাসহ মোট সাড়ে ৬২ হাজার টাকা পাবে। অতীতে যে কোন সরকারের তুলনায় আওয়ামীলীগ সরকার দেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আগামীতে আবারও নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খুলনার ফুলতলায় নব নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন-উল-আহসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাকিম, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ দিদার আহম্মেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা ইউনিট কমান্ডার সরদার মাহাবুবার রহমান, মহানগর ইউনিট কমান্ডার অধ্যাপক আলমগীর কবির, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ আকরাম হোসেন, ইউএনও মাশরুবা ফেরদৌস। স্বাগত বক্তৃতা করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী জাফর উদ্দিন। মৃনাল হাজরার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সম রেজোয়ান আলী, সরদার শাহাবুদ্দিন জিপ্পী, শেখ শাহাদাৎ হোসেন বাচ্চু, খান মোহাম্মদ আলী, আতিয়ার রহমান মোড়ল, এম এ মান্নান, কাজী আশরাফ হোসেন আশু প্রমুখ। এর পূর্বে প্রধান অতিথি ১ কোটি ৫৩ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে নব নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন, কমপ্লেক্স চত্বরে জাতীয় এবং মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট পতাকা উত্তোলন এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।