খুলনা : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যার ৬ বছর অতিবাহিত হলেও আজও এর কোন কূল কিনারা পাওয়া যায়নি।
মামলার তদন্তের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, আইন ঠিকই আছে, কিন্তু সংস্থাগুলোর তদন্তে রয়েছে গাফিলতি। ৫০/৬০ বার করে সময় নিয়েও সংস্থাগুলো হত্যার ফাইনাল রিপোর্ট দিচ্ছে। তাতে তারা উল্লেখ করছে, আমরা কিছু পাইনি। তাহলে এই মানুষগুলো মারা গেলো কিভাবে।
যদি দুর্নীতির দায়ে একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিচার হতে পারে তবে সাংবাদিকদের হত্যাকান্ডের কেন বিচার হবে না। এসব হত্যাকারীরা কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান। তা যদি না হয় অবিলম্বে খুলনার সাংবাদিক হুমায়ূন কবীর বালু, মানিক সাহা, হারুনুর রশিদ খোকন, শেখ বেলাল উদ্দীনসহ দেশের সব সাংবাদিক হত্যার বিচারকাজ শেষ করতে হবে। রোববার বেলা ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাব চত্বরে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন।
খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম এর পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান।
সমাবেশে আরও বক্তৃতা করেন, বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ মধুসূদন মন্ডল, যুগ্ম-মহাসচিব মোজাম্মেল হক হাওলাদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শাবান মাহমুদ, আবু তাহের চৌধুরী, আতাউল করীম, এম এ সালাম, শহিদুল আলম প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মল্লিক সুধাশু, সাবেক সভাপতি মকবুল হোসেন মিন্টু, শেখ আবু হাসান, এ কে হিরু, এসএম হাবিব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার রায়, মামুন রেজা, বিএফইউজে নেতা আসাদুজ্জামান রিয়াজ প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ৫৭ ধারার পরিবর্তে ৩২ ধারা দিয়ে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জল হয়নি। কারণ ৫৭ ধারা সবকিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেয়া হয়েছে ৩২ ধারার মধ্যে। এসময় তারা ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।