অবুঝ স্বাধীনতা

প্রকাশঃ ২০১৭-১২-১২ - ১৫:১০

সুশান্ত বিশ্বাস

 

তুমি কেন অবুঝ স্বাধীনতা?
তোমাকে অর্জন করিবার তরে ,
বাবার রক্তে রক্তিম রাজপথ মা-কে বিধবা সাজিয়েছো।
চোখের সামনে ভাইয়ের বুকে তাজা রক্ত নিয়োছো।
সন্তান হারা মায়ের কষ্টকে স্তব্ধ করেছো।
বোনের ইজ্জত নিয়োছে নিটালে সিন্দুর মুছে দিয়েছো।
পিতার স্নেহ থেকে আমাকে বঞ্চিত করছো।
বিধবা নারীর ঠিকানা বিহিন মনে পড়ে সন্তানের পিতার কথা,
এত কিছু নিয়েও অবিশ্রান্ত হওনি।
তুমি কেন অবুঝ স্বাধীনতা?
তোমার কাছে কি ছিল এটাই চাওয়া?
বিশ্ব মাঝে তুমি অবিনাশী পরম পাওয়া,
১৬ ই ডিসেম্বরে বিজয় সবুজে রঞ্জিত পতাকা।
মাকে অসম্মান, শহীদের শোনিত বন্যা পদ্মা মেঘনা, যমুনা।
শহিদের শহীদ মিনার স্মৃতিসৌধ অমর চেতনা।
বিজয় উল্লাসে অর্জিত উড়ান্ত রক্তিম নিশান।
তুমি কেন অবুঝ স্বাধীনতা?
তোমার জন্য আজ সব কিছু ফিরে পাওয়া,
পৌষ নবান্ন সরিষা ফুলে হাসে কৃষকের সোনালী মাঠ।
ধ্বংস যজ্ঞ পুর্ণ নির্মাণ পুল কালভার্ট।
ফিরে আসা শরনার্থীরা দিলে পুর্ণ বাসস্থান।
ফুলে সুগন্ধি সৌরভে পিউ পাপিয়া করলো অবস্থান।
বেজে উঠল বাউলের একতারা রাখালিয়া বাশির সুর।
স্বাধীন হওয়ার পাল উড়িয়ে যায় মাঝি অনেক দুর।
ছোট খুকির পায়ে বাজে ঝিলমিল নুপুর।
এখনো ভেসে উঠে জয়বাংলা দেশের গান কহু কণ্টসুর।
তুমি কেন অবুঝ স্বাধীনতা?
তোমার জন্য তো আজ এত লেখা।
কবিগুরু সোনার বাংলা মুখরিত গান
নজরুলের কারাগারে উচ্চস্বরে কবিতার সংগ্রাম,
জীবানন্দ রুপসী বাংলা পল্লী কবির নকশী কাথার মাঠ,
সামছুর রহমানের স্বাধীনতা তুমি কবিতার শিরোনাম
স্বাধীনতা তুমি অক্ষয় বাংলাদেশের সমান
তুমি কেন অবুঝ স্বাধীনতা?