আওয়ামী লীগে নতুন মুখের ছড়াছড়ি বিএনপি জোটের নীরব প্রচারণা

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-১৫ - ১৬:১৪

ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রাঃ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত খুলনা-৬ আসন। কয়রার ৭টি ও পাইকগাছার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ সংসদিয় আসনে রয়েছে প্রায় ৩ লক্ষাধিক ভোটার। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এখনো চুড়ান্ত না হলেও মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ইতমধ্যে আটঘাট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন। দলের সবুজ সংকেত পেতে একদিকে তারা যেমন কেন্দ্রের নেতাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছেন, ঠিক তেমনি নির্বাচনী এলাকায় চালাচ্ছেন গণসংযোগ, শুভেচ্ছা বিনিময়। এমন কি প্যানা ও ফেস্টুনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ব্যক্তিগত রাজনৈতিক কর্মসূচিরর প্রচারণা চালাচ্ছেন তারা। অপরদিকে ভোটারদের মধ্যেও চলছে নানা আলোচনা। কে কোন দলের মনোনয়ন পাচ্ছেন, কে হলে ভালো হয় তা নিয়েও চলছে নানা বিশ্লেষন। আসন্ন নির্বাচনে বড় দু’টি রাজনৈতিক জোটের মধ্যে আওয়ামী লীগের পুরাতন মুখের পাশাপাশি একাধিক নতুন মুখ নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়ালেও বিএনপি জামাত জোটের প্রার্থিরা নিরবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় দু’দলের মনোনয়ন বন্টন অনেকটা কঠিন হয়ে পড়তে পারে এমন মন্তব্য রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এ নির্বাচনে আ’লীগের এ্যাডঃ শেখ মোঃ নুরুল হক, এ্যাডঃ সোহরাব আলী সানা, ডাঃ শেখ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ মোঃ রশীদুজ্জামান মোড়ল, আক্তারুজ্জামান বাবু ও ইঞ্জিনিয়ার প্রেমকুমার মন্ডল, ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুল আলম নির্বাচনী প্রচারণায় থেকে দলিয় মনোনয়ণ প্রত্যাশা করেন। এছাড়া বিএনপি’র ডাঃ আব্দুল মজিদ, এ্যাডঃ মোমরেজুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান মন্টু ও মোঃ রফিকুল ইসলাম রফিক মনোনয়নের জন্য সর্বপ্রকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। একক প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য, পাইকগাছা উপজেলা সভাপতি মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, জামায়াতের মাওঃ আবুল কালাম আজাদ, কমিউনিস্ট পার্টির সুভাষ সানা মহিম ও পলাশ দাশ, বাংলাদেশ জনতাপার্টির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা জি,এম, কেরামত আলী এবং ইসলামী আন্দোলনের মাওঃ নুর আহাম্মদ নির্বাচনী প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে বরাবরই খুলনা-৬ আসনটি আ’লীগ এবং জামায়াতের আসন হিসেবে পরিচিত। জামাতের সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুস শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকায় দলটির পক্ষ থেকে নগর জামায়াতের আমীর আবুল কালাম আজাদকে নির্বাচনী তৎপরতা চালাতে নির্দেশ দেওয়ায় সে আলোকে তিনি কাজ করে চলেছেন। তবে স্থানীয় বিএনপি এবার জামাতকে ছাড় দিতে নারাজ। বিএনপির তৃণমুল নেতা কর্মিরাও এবার এ আসনে বিএনপির প্রার্থী চেয়ে জোর দাবি তুলেছেন। আবার গত ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনার তিন বাম দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে জামাত নেতারা অন্য দল থেকেও নির্বাচনে প্রার্থী না হতে পারার বিষয়টি নিশ্চিত করায় খানিকটা বিপাকেই পড়েছে দলটি। তবে স্থানিয় জামাতের একাধিক নেতা প্রতিবেদককে বলেন তারা খুলনা-৬ আসনে প্রয়জনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রার্থী দিবেন। এদিকে আওয়ামী লীগের একাধিক নতুন প্রর্থী নির্বাচনী প্রচারণায় থাকলেও নির্বাচনী হিসেব নিকেষ এবং প্রার্থী বাছাই নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী মহলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত বলে দাবি করেছেন, জেলা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ। তিনি জানান, প্রচারণা চালাতে নিষেধ নেই তবে দল যে সিদ্ধান্ত দেবে তার বাইরে গেলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না কারণ আগামী নির্বাচন দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের হাইকমান্ড একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা করেছে৷ আগামী নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা পর্যন্ত এসব প্রার্থীদের কার্যক্রম মনিটরিং করা হবে৷ জনসমর্থনে যার অবস্থান সবচেয়ে ভালো হবে, তিনিই মনোনয়ন পাবেন বলে কেন্দ্রের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছেন।