আগত রমজান: খুলনার মার্কেট গুলোতে উপচে পড়া ভিড়

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-১৮ - ১৮:০৬

এস, এম, জাহিদ: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি যত ই হোক না কেন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ার মত,খুলনা নগরীর বড়বাজারের মার্কেটগুলোতে। সামনে রমজানকে সামনে রেখে অনেকেই মাসিক একবারের বাজার করতে দেখা গেছে। চাহিদার অতিরিক্ত তথাপি সে তুলনায় আমদানি কম থাকায় বিভিন্ন দ্রব্যের মূল্য এতো বৃদ্ধি পেয়েছে অনেকে মন্তব্য প্রকাশ করে। দেশীয় মুরগি, মাছ, ডিম, যেগুলো আসলে অনেকটা বিলুপ্তের পথে, সেগুলোর দাম হাতের নাগালের বাইরে। যারা দিনমজুর বা খেটে খায় তাদের পক্ষে ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু ক্রয় করে বয়লা রমজানে খেতে পারবে না। আসন্ন ২৩ তারিখে প্রথম রমজান কে সামনে রেখে অনেকেই চাল, ডাল, ছোলা ,তেল, বেসন বিভিন্ন দ্রব্যাদি মজুত আকারে ক্রয় করছে। বড় বাজারের মধ্যে প্রবেশকালে বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে মুদি দোকান গুলোতে অতিরিক্ত উপচে পড়া ভিড়। আবার ফলের দোকান ,চিড়া,মুড়ি ইত্যাদি দোকান গুলোতে ও কমতি ছিলনা ক্রেতাদের ভিড়ের। প্রতিটি পণ্যের আগের তুলনায় তুলনামূলক দাম অনেক বেশি দূর দুরান্ত থেকে গ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে সবজি, মাছ সহ অন্যান্য অনেক দ্রব্যাদি শহরে প্রবেশ করেছে বলেও দেখা গেছে ।কাপড়ের দোকানগুলোতেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। একজন ক্রেতা বলছে, রোজার শুরুতে বা রোজার পূর্বে যদি কেনাকাটা করা যায় তাহলে দামের দিক থেকে কম পাবে, অনেকটা ভালো পণ্য পাবে এবং রমজান পড়া শুরু হয়ে গেলেই কেনাকাটার আরো ধুম পড়বে তখন দাম বেশি হবে যার কারনে এখন শুরুতেই কেনাকাটা করতে আসা বলছে ঐ ক্রেতা। অপরদিকে দোকানদার এক বিক্রেতা বলছে শুরুতেই ভালো কেনাকাটা দেখছি এবং সকাল থেকে প্রচন্ড পরিমাণ সেল দিচ্ছি, ভিড় করছে ক্রেতারা ভালই ,কেনাবেচা হচ্ছে অনেক,এমন কেনাবেচা হলে এ বছর ব্যবসা-বাণিজ্য অনেক ভালো হবে বলে মনে করছে বড়বাজারের ওই দোকানদার। শুরুর এই ভালো দেখে ভালো বিক্রি দেখে সে ও প্রফুল্লতা প্রকাশ করছে। এমন অবস্থা দেখা গেছে নিউমার্কেট, শপিং কমপ্লেক্স এবং সিমেন্টি রোডের রোডের জুতোর দোকানগুলোতেও। অনেকে যদিও বলছে ২০২৩ সাল দুর্ভিক্ষের বছর ,তথাপি ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে এমন কোন হতাশা দেখা যায়নি। অন্যদিকে মার্কেট গুলোর মধ্যে যাত্রীবিহীন এবং যাত্রীসহ ইজিবাইকগুলো ঢোকাতে ক্রেতা বিক্রেতারা চরমভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে বলে অধিকাংশ আগত জনসাধারণ মত প্রকাশ করছে। প্রত্যেকটা মার্কেটের ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি সেক্রেটারি এবং ব্যবসায়ী, বিক্রেতা ,ক্রেতা যারা ,প্রত্যেকেরই মন্তব্য, কোনক্রমে রমজান মাস সহ সারা বছর যদি এই মার্কেট গুলোতে ইজিবাইক প্রবেশ না করে তাহলে সকলের জন্যই কেনাকাটায় ভালো হয়। সুবিধা মতো বেচা কেনা করা সম্ভব হয়। না হলে প্রতিনিয়ত ওদের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয় এবং নানান প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হয় ক্রেতারা । দোকান ব্যবসায়ী, মালিক সমিতি সকলেরই সিটি কর্পোরেশন এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছে ইজিবাইক অনুপ্রবেশে যানজটের সৃষ্টি ব্যাপারে ।