আজ দোল উৎসব

প্রকাশঃ ২০১৯-০৩-২১ - ২১:১২

ঢাকা অফিস : আজ দোল উৎসব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব এটি।

বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ি, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে শ্রী রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সহিত রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তন গান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন।

দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।

দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে। দোলের আগের দিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্ন্যুৎসবের আয়োজন করা হয়। এই বহ্ন্যুৎসব হোলিকাদহন বা নেড়াপোড়া নামে পরিচিত। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলায় দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।

এদিকে, দোল উৎসবকে ঘিরে ঢাকায় চলছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নানা আনুষ্ঠানিকতা। বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই, পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দোল উৎসবের এই আনুষ্ঠানিকতা।

বৃহস্পতিবার দোল উৎসবে কীর্তন ও নানা সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কথা বলেন তাঁর ভক্তরা। সকালে ভক্তরা রাধা ও কৃষ্ণকে আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তন করেন। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে ভক্তরা আবির নিয়ে মেতে উঠেন রঙ খেলায়।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সকাল থেকেই ছিলো ভক্তদের সমাগম। আবীরের রঙই যেনো সকল অপশক্তিকে ধ্বংস করে নিয়ে আসবে শান্তির বার্তা-এমনটাই মনে করেন ভক্তরা। আগামীকালও থাকছে দোলযাত্রা বা গৌড়পূর্ণিমা নিয়ে পুরান ঢাকায় নানা আয়োজন।