আন্তর্জাতিক ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে নাময়াজরত মুসল্লিদের ওপর হামলাকারী হামলাকারী অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্ট হামলার আগে একটি ইশতেহার দিয়েছেন। ৭৩ পৃষ্ঠার একটি ইশতেহারে সন্ত্রাসী হামলার আভাস দিয়েছিলেন কট্টর ডানপন্থি ব্রেন্টন। যেখানে তিনি দুই বছর আগ থেকে হামলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন। আর ক্রাইস্টচার্চে হামলার সিদ্ধান্ত তিন মাস আগে নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম নিউজ.কমের এক প্রতিবেদনে টুইটারে পোস্ট করা ব্রেন্টের ওই ইশতেহারে বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ব্রেন্টন নিজেকে একজন শ্বেতাঙ্গ হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
এ হত্যাকাণ্ডের পূর্বাভাস দিয়ে তিনি লিখেন, তিনি মুসলমান এবং ধর্মত্যাগীদের ঘৃণা করেন। ধর্মত্যাগকারীদের তিনি রক্তের সঙ্গে প্রতারণাকারী হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ২০১১ সালে নরওয়ের ওসলোতে ৭৭ জনকে হত্যাকারী অ্যান্ডারর্স ব্রেইভিকসহ অন্যান্য বন্দুকহামলাকারীদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উগ্র সমর্থক ক্যানডিস ওউনসের কাছ থেকে অনুপ্রারিত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এই হামলা ২০১৭ সালের স্টকহোমের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ হিসেবেও উল্লেখ করেন ব্রেন্টন। তিনি জানান, ওই হামলায় ১২ বছর বয়সী এব্বা আকারলান্ড নামের এক মেয়ে নিহত হয়। উজবিকিস্তান থেকে আসা এক শরণার্থী এই হামলা চালিয়েছিল। আর এব্বার মৃত্যুই তাকে এই হামলা করতে প্রথম উৎসাহ দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে ব্রেন্টনের এলোপাতারি গুলিতে এখন পর্যন্ত তিন বাংলাদেশিসহ ৪৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার জুমার নামাজের সময় দু’টি মসজিদে হামলার ঘটনায় একটিতে বাংলাদেশের ক্রিকেট দল উপস্থিত ছিলেন। কিছু সময় বাসে অবরুদ্ধ থাকার পর তারা নিরাপদে হোটেলে ফিরে আসতে সক্ষম হন।