জামাল উদ্দিন জীবন
হাফিজ:বিগত দিনগুলির ঘটোনা সব খুলে বললো আজাদ মাস্টারের কাছে।আজাদ সব শুনে অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে কি বলবে কিছুই ভেবে পাচ্ছেনা।এটা বেশ বুঝতে পারছে মেম্বার আর মেলেটারি এক হয়ে গ্রাম ও গ্রামের মানুষের ক্ষতি করতে চলেছে।তালিকায় ছোট বড় নারী ও শিশু সকলের নাম দেওয়া হয়েছে।আগামিতে নাকি যাদের নাম তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে সকল পুরুষদের থাকতে বলা হবে।এমন কথা শুনেছে হাফিজ তবে কবে বা কোন সময়ে থাকতে বলা হয়েছে তার কোন সঠিক সময় বলা হয়নি।
আজাদ: সব শুনে বলে তুমি কোন চিন্তা করোনা হাফিজ ভাই।আমি বুঝতে পেরেছি তোমার চিন্তার কারন তুমি ছেলে এবং স্ত্রীর জন্য খুব বেশি ভাবছো।হ্যাঁ ভাই তুমি ঠিকই বলেছো।শুধু একার চিন্তা করলে কি আর হবে আমরা সকলে একই গ্রামে থাকি সকলের ভাল মন্দ আমাদের দেখতে হবে।তাছাড়া বেশি সমস্যা হচ্ছে যাদের ঘরে যুবতি মেয়ে আছে।শালার মেলেটারিগো চোখ খারাপ ওরা খালি মেয়ে মানুষের দিকে তাকাইয়া ছিল মনে হয় কোন দিন মেয়ে মানুষ দেখে নাই।আমার ইচ্ছে করছিল ওদের চোখ গুলারে তুইলা ফেলি আমি।
আজাদ: বুঝতে পারছে ভিতরে ভিতরে খুব রেগে আছে হাফিজ কিন্তু কিছুই করার নেই বাধ্য হয়ে তাকে অলিদের সব কাজ করেদিতে হচ্ছে তাদের কথা মতো নয়তো বিপদ হতে পারে।
জমিলা: বেশ চিন্তিত আজ জমিলা চারিপাশের খবর শুনে তার মুখটা শুকনো হয়ে গেছে কপালে ভাঁজ পড়েছে।গ্রামে কি যে হতে যাচ্ছে সে ঠিক করে বুঝে উঠতে পারছেনা।চারিপাশ হতে খবর বার্তা যা পাচ্ছে তাতে বিপদ আসন্ন এটা বেশ বুঝতে পারছে।কি করবে কি করে তার পরিবার এবং গ্রামের লোকদের রক্ষা করবে।জমিলা সেই ভাবনায় সারাক্ষণ ব্যস্ত।
মালেক: সকালের দিকে মালেক আজ সকলের নামের তালিকা হাতে করে ক্যাম্পে এসেছে।মেলেটারিরা অনেক কিছু জানতে চাইছে মালেকের কাছে।মালেকের জানামতে যে সকল তথ্য ছিল সকলি সে বলেছে কিন্তু তার গ্রামের মহিলা এবং ছাত্র ছাত্রিদের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে সে কোন ভাল তথ্য তাদের দিতে পারনি।মেজর এতে করে তাকে বেশ রাগা রাগি করেছে।মালেক অবশ্য বলেছে বিকালের মধ্যে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি তাদের কাছে পৌছে যাবে।মেজর বলেছে তোম আচ্ছা তরফছে হামারা পাছ জলদি করকে খবর লেকে আইয়ে মালেক।মালেক বলে জি হুজুর হাম জরুর আপকা লিয়ে সবকুছ লেকে আয়া।মালেক ক্যাম্প হতে বাড়ির দিকে হাটছে আর ভাবছে যে বউ জি আমার বাড়িতেও আছে।আমি কেমন করে গ্রামের সকল মেয়ে মানুষদের খবর তাদের কাছে দিব।অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে মালেক বাড়িতে পৌছে।
অলি:মালেক মেম্বর অলিকে ডেকে বলছে সকল মহিলাদের খবরা খবর তাকে দুপুরের মধ্যে জানাতে।অলি প্রথমে তার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল।কিছু বলবে ভাবছে পরে যখন দেখলো সে তার স্ত্রী আরিফা বেগমকে বলছে আজকের সকল ঘটোনার কথা।তখন সে বুঝতে পারে আসলে খবরা খবর হুজুরের না,দরকার মেলেটারিদের।
আরিফা: আরিফা স্বামীর মুখ হতে সকল ঘটোনা শুনে বলল তুমি কেন তাদেরকে গ্রামে আনতে গেলে।আমাদের ঘরেওতো মেয়ে আছে।আমি শুনেছি তাদের চরিত্র খুব খারাপ হয়।তারা সারাক্ষণ মেয়ে মানুষ মদ নিয়ে আন্ন্দ ফুর্তিতে মেতে থাকে।তুমি কার ঘরের মেয়েকে বা বউকে তাদের ভোগের সামগ্রি করে হাতে তুলে দিবা।আরিফার সাথে এসব ব্যাপার নিয়ে মালেকের অনেক ঝগড়া ঝাটি হয়