ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, দুপুর আড়াইটা থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুরোপুরি আছড়ে পড়তে সময় লাগবে আরও চার ঘণ্টা। আমপানের সামনের অংশ ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে প্রবেশ করেছে বলেও জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় দেখা দিতে পারে ভূমিধসও। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। এছাড়া, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও কক্সবাজারে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করবে এই সুপার সাইক্লোন।
এরইমধ্যে উপকূলের বিভিন্ন জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগে প্রায় ২৪ লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে প্রশাসন। এছাড়া, করোনা সংক্রমণ রোধে অতিরিক্ত আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলোতে। এদিকে ভোলার চরফ্যাশনে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে একজন এবং বরগুনায় আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার সময় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলাসহ সাত উপজেলার ২১টি ঝূকিপূর্ণ দ্বীপ ও চরাঞ্চল থেকে প্রায় আড়াই লাখ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছে। সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে গড়ে ২০০ জন করে রাখা হয়েছে।
ভোলার ঢালচর ও চর কুকরিমুকরিতে পানি ঢুকে অন্তত ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বরগুনায় নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সময় মাছ ধরার ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। তবে ট্রলারে সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আর আশ্রয়কেন্দ্রে আসার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বরগুনার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
বাগেরহাটে গুরুত্বপূর্ণ শরণখোলা বাঁধটি যেকোন মূহূর্তে ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা স্থানীয়দের রয়েছে। খুলনা অঞ্চলে নৌবাহিনী পক্ষ থেকে ২৫টি জাহাজ প্রস্তত রাখা হয়েছে উদ্ধার ও ত্রাণ সহায়তার জন্য। চিকিৎসার জন্য ১১৬টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লোন্দা খালে স্বেচ্ছাসেবকবাহী নৌকা উল্টে সিপিপির টিম লিডার শাহালম মীর নিখোঁজ রয়েছেন। তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।