আরও ৪ জনের শরীরে করোনার উপিস্থিতি : মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৪৮

প্রকাশঃ ২০২০-০৩-২৭ - ১৮:৪০
ঢাকা অফিস : নতুন করে আরও চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসে উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে আইইডিসিআর। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা না বাড়লেও বেড়েছে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা। দেশে নতুন করে আরও চারজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত করেছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর। এর ফলে, দেশে মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪৮ জনে দাঁড়ালো। শুক্রবার (২৭শে মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর মহাখালী থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, নতুন করে যে চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে দু’জনই চিকিৎসক। আক্রান্তদের মধ্যে ২ জন ঢাকার এবং দু’জন ঢাকার বাইরের। আক্রান্তদের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী একজন রয়েছেন। বাকীজন ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি। এই চারজনের মধ্যে দু’জন অন্য রোগে ভুগছেন। তবে, সবার অবস্থা স্থিতিশীল বলেও জানান সেব্রিনা ফ্লোরা।

আইইডিসিআর এর পরিচালক জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১০৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর এ পর্যন্ত সর্বমোট ১ হাজার ২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আর ঢাকা ছাড়াও এখন ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতেও হটলাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে। এছাড়া, হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করছে আইইডিসিআর। এমনকি, দ্রুত নমুনা সংগ্রহ এবং নমুনার ফলাফল দ্রুত দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।

আগে শুধুমাত্র বিদেশ ফেরতদের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও এখন অন্যান্য ব্যক্তিদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। আর পারসোনাল প্রটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা পিপিই সরবরাহ করার বিষয়ে তিনি জানান, এখন পিপিই’র চাহিদা বেশি থাকায় সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, অনেকেই পিপিই সবরাহ করতে চেয়েছেন। অনেকেই অনেকভাবে সহযোগিতা করছেন বলে উল্লেখ করে আইইডিসিআর’র পরিচালক।

অনেক সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান সেব্রিনা ফ্লোরা।

সামাজিক সংক্রমণের বিষয়ে সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, সীমিত আকারে কমিউনিটি সংক্রমণ হচ্ছে। তাই সবাইকে সংক্রমণ এড়ানোর নিয়ম মেনে চলতে হবে। হাঁচি-কাশি দেয়ার শিষ্টাচার মেনে চলতে হবে।

এদিকে, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যায় এরই মধ্যে চীন ও ইতালিকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র, দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫ হাজার ছাড়িয়েছে। একদিনে রেকর্ড ১৭ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন দেশটিতে, মৃত্যু হয়েছে প্রায় তিনশ মানুষের। ইতালি ও স্পেনে ২৪ ঘণ্টায় সাতশ’র বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।

ইউরোপের দেশ ফ্রান্সে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৭১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, ইতালিতে নতুন করে প্রাণ গেছে ৭১২ জনের। দক্ষিণ আফ্রিকা আগামী তিন সপ্তাহের জন্য লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দেশটিতে ৯শ’র বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও কেউ মারা যায়নি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুর খবর জানিয়েছে কেনিয়া ও ভেনিয়াজুয়েলা।