বৃহস্পতিবার (১৬ই এপ্রিল) সকাল ১০টায়, গণভবনে ঢাকা বিভাগের ৯টি জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা দিবসসহ মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সীমিত আকারে নিয়ে আসা হয়েছে। দেশের মানুষের জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। প্রশাসন, পুলিশ, সশস্ত্রবাহিনী ও বিজিবি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। এজন্য সকলকে ধন্যবাদ।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের মানুষ ঘরে বন্দি, স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হচ্ছে। একটা ভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্ব আজ এক জায়গায় চলে এসেছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশের মানুষকে মন্দা থেকে রক্ষার জন্য আগাম কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। প্রত্যেককে নিজ নিজ সুরক্ষার ব্যবস্থা নিতে হবে। ফসল উৎপাদনের দিকে বিশেষ জোর দিতে হবে।
রোজা উপলক্ষ্যে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি জানান, সৌদি বারবে মসজিদে নামাজ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এই বিষয় থেকে শিক্ষা নিতে হবে। রোজায় যেন মানুষের অসুবিধা না হয় সেদিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সামাজিকভাবে হেয় করার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এতটা অমানবিক হলো কি করে? সারাদেশে করোনায় আক্রান্তের পরীক্ষা বাড়ানো হয়েছে শনাক্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের পিপিই দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া, দূরত্ব বজায় রেখে হাট বাজার করার পাশাপাশ যারা ঘরে বসে আছেন তাদের বাগান করার কথা জানান তিনি। এসময় সকলকে বেশি বেশি গরম পানি খাওয়ার কথা বলেন তিনি। আর, যাদের করোনা আক্রান্ত রয়েছে তারা অন্য কোথাও না যাওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।