আ’লীগ নেতা ইকরামুল চাঁদখালী ইউনিয়নে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী

প্রকাশঃ ২০২১-০২-০৮ - ১৮:৩৪

মোঃ আসাদুল ইসলাম, পাইকগাছা : পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী আ’লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী জি এম ইকরামুল ইসলাম সাংবাদিকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তার সংক্ষিপ্ত জীবনী বর্ননা করা হলো।

আপনার পরিচয় কি? জি এম ইকরামুল ইসলাম , পিতা মৃত জি এম শাহাবান আলী,মাতা – মেহেরুন্নেসা ,গ্ৰাম-গজালিয়া , ইউনিয়ন-চাদখালী, পাইকগাছা, খুলনা।১৯৭০সালে ৫ ফেব্রয়ারী মধ্যেবিত্ব মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ।

আপনার শৈশবের স্মৃতি বলেন – আমি আমার পিতা মাতার মুখে ৫২ ভাষা আন্দোলন,৭০ নির্বাচন,৭১সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীর প্রেমে পড়েছি।

আপনি কতবছর রাজনীতি করছেন- আমি ১৯৮৮ সালে আমার গ্ৰাম হইতে পাইকগাছা উপজেলা শহীদ এম এ গফুর স্মৃতি সংঘের একজন ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে যোগদান করে পরিচিত হতে শুরু করি। ১৯৯১ সালে আ’লীগ উপজেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম স ম ইউসুফ নানার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে সামিল হই । ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে জয়ী করতেদলীয় নেতা-কর্মিদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছি। ১৯৯৭ সালে পাইকগাছা পৌরসভার যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক হই। ২০০১ সালে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লাভ করি। ২০০৪ সালে উপজেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হই। ২০০৪ সালের ১০আগষ্ট হতে ২০০৮ সালের ১৩ আগষ্ট পর্যন্ত উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি দায়ীত্ব পালন করে পৌরসভা সহ ১০ ইউনিয়নের কমিটি গঠন করতে সক্ষম হই। ২০০৫ সালে ৪দলীয় জোট সরকারের আমলে মিথ্যা ও হয়রানি মামলার স্বীকার হই। ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডঃ সোহরাব আলী সানাকে নৌকা প্রতীক বিজয়ী করার জন্য দলীয় নেতা কর্মী নিয়ে গনসংযোগ ও ভোট প্রার্থনা করে বিজয় লাভ করি। ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটি সদস্য ‌২০০১সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নীল নকশা জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরাজয়ের পর নেতা কর্মীদের নিপীড়ন ,নির্যাতন , হুমকি মোকাবেলায় দলকে সুসংগঠিত করতে প্রানপণ চেষ্টা করি। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছি। ২০০৭ সালে ১/১১ সময় রাজনৈতিক দল মাঠ ছেড়ে চলে যায় সেই সময় ১২/১৪ জন নেতাকর্মী নিয়ে রাজপথে মিছিল করে আবারো পুলিশের মারপিটের শিকার হই এবং মিথ্যা মামলার আসামী হই ।

আপনার সামাজিক কাজ – ঘুর্নিঝড় সিডর,আয়লা, বুলবুল,আম্পানে দক্ষিণ জনপদ লন্ডভন্ড হয়ে যায় সে উদ্ধার তৎপরতা, আশ্রয়হীন ও অনাহার পরিবার কে আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে সাধ্যমত সাহায্য করে আসছি। এছাড়া মহামারী করোনা ভাইরাস এর সময় জনসচেতনতার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, হ্যান্ড স্যানেটাইজার, মাক্স সহ খাদ্য সহায়তা দিয়েছি শীতে কম্বল বিতরণ করেছি। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ঈদ, পূজা,ও অসুস্থ ব্যক্তিদের সহোজগীতা করে আসছি।২০১৬ সালে আমার চাদখালী ইউনিয়নে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে পাইনি , তারপরও দলের সিদ্ধান্ত কে স্বাগত জানিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছি। ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব আক্তারুজ্জামান বাবু ও ২০১৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে আমার ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রধান দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে দলীয় নেতা কর্মী সংগে নিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছি। পরবর্তীতে ২০২০ সালে উপজেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে আমার দায়িত্ব থাকা অবস্থায় নৌকা প্রতীক বিজয়ী হয়। আমি আ’লীগের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কমিটির সকল ঘোষিত কর্মসূচি অংশগ্রহণ করে আসছি।

আপনি রাজনীতির পাশাপাশি আর কি করেন- রাজনীতি পাশাপাশি আমার উপজেলা সদরে মেহেরুন্নেসা এন্টারপ্রাইজ ও গজালিয়া তাজীন মৎস খামার রয়েছে।

আপনি দলীয় মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান হয়ে কি করতে চান- দলীয় মনোনয়ন পেলে চেয়ারম্যান হতো পারবো আমি আশা বাদী,আর চেয়ারম্যান হলে চাঁদখালী ইউনিয়ন মাদকমুক্ত,জংগিবাদ, দূর্নীতি, সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষর মুক্ত, সুখী-সমৃদ্ধশালী মডেল ইউনিয়ন গড়তে বলিষ্ট ভুমিকা রাখবো, অসাম্প্রদায়িক সমাজ ও বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কারিগর জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার করছি।
জি এম ইকরামুল ইসলাম রবিবার সকালে পাইকগাছায় একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব মন্তব্য করেন।