আশাশুনিতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরো একজনের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশঃ ২০২১-০২-১৯ - ১৮:০৩

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার কুড়িকাউনিয়াতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় শফিকুল ইসলাম সানা নামের আরো এক শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নিঁখোজের চতুর্থ দিনে শুক্রবার দুপুর আড়াই টার দিকে কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাটের অপর পাশে কপোতাক্ষ নদে মরদেহটি ভেসে উঠলে কোর্ষ্ট গার্ডের সদস্যরা সেটি উদ্ধার করে। এনিয়ে নিখোঁজ তিন শ্রমিকের মধ্যে দুই জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।
নিহত শ্রমিক মোঃ শফিকুল ইসলাম সানা (৪৮) আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের বকচর গ্রামের মৃত ফজলে সানার ছেলে। এর আগে বৃহস্পতিবার কাপসন্ডা গ্রামের মনজিল সরদারের ছেলে বাবর আলীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন জানান, নিখোঁজ বাকি দুই শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধারে কোষ্ট গার্ড ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা শুক্রবার সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু করেন। একপর্যায় বেলা দেড়টার দিকে কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাটের অপর পাশে কপোতাক্ষ নদে শফিকুল ইসলামের মরদেহটি ভেসে উঠলে কোর্ষ্ট গার্ডের সদস্যরা সেটি উদ্ধার করেন। তবে, এখনো নিখোঁজ রয়েছে আজিজ নামের অপর এক শ্রমিক। ইউপি চেয়ারম্যান এ সময় তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নিহত দুই শ্রমিকের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা করে অনুদান দেন।
এদিকে, ট্রলার ডুবির ঘটনা তদন্তের জন্য জেলা প্রশাসনের গঠিত ৭ সদস্য বিশিষ্ট্য তদন্ত কমিটি সরেজমিনে শনিবার সকাল ১০টায় ঘটনাস্থলে যাবেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ বদিউজ্জামানকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত ঃ গত মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে আশাশুনির প্রতাপনগর ইউনিয়নের কুড়িকাউনিয়া লঞ্চঘাট থেকে ঘুর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত ভাঙন পয়েন্টে বালি ভর্তির জন্য খালি বস্তা ও শ্রমিকদের নিয়ে যাওয়ার সময় চালক আব্দুস সাত্তারসহ ১৪জন শ্রমিকের একটি ট্রলার কপোতাক্ষ নদের প্রবল স্রোতে ডুবে যায়। এসময় ট্রলার চালকসহ উদ্ধার হওয়া ১২ জন শ্রমিকের মধ্যে দুই জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এতে নিখোঁজ হন শ্রমিক বাবর আলি, আব্দুল আজিজ ও শফিকুল ইসলাম। ইতিমধ্যে শ্রমিক বাবর আলি ও শফিুলের মরদেহ উদ্ধার হলেও এখনও নিঁখোজ রয়েছে আব্দুল আজিজ।