আশাশুনিতে ধর্ষনের পর স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্তা!

প্রকাশঃ ২০১৭-১০-১৩ - ০০:৪৪

আশাশুনি : আশাশুনির পল্লীতে এক লম্পট চাচা কর্তৃক ধর্ষনের ফসল ভাতিজা ৮ম শ্রেনি পড়ুয়া ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্তা হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জনপ্রতিনিধি ও এলাকার মাতব্বরদের শালিসে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরন ও অবৈধ গর্ভপাত করিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে না পেরে বিভিন্ন মহলে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে লম্পট চাচার মামা-খালুরা। তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের বাইনতলা গ্রামের বিধান মন্ডল ওরফে বিধে’র লম্পট পুত্র ভগিরথ (২৪) পার্শ্ববর্তী তার ভাতিজা সম্পর্কিত একই বাড়ির বিশ্বনাথ মন্ডলের কন্যা বাইনতলা স্কুলের ৮ম শ্রেনি পড়ুয়া ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। মেয়েটি কোন ভাবে রাজি না হওয়ায় একই বাড়ির রবেনের স্ত্রী সাবিত্রিকে ব্যবহার করে মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে রান্নার কথা বলে ভগিরথের হাতে তুলে দেয়। আর এতে সহযোগিতা করে একই স্কুলের দশম শ্রেনির ছাত্র ধিরাজ মন্ডল, অলজ মন্ডল, চিরঞ্জীত মন্ডল ও কলেজ ছাত্র সুব্রত মন্ডল। মেয়েটি সাংবাদিকদের জানায়, বৈশাখ মাসের কোন একদিন সাবিত্রি তাকে ডেকে নিয়ে ভগিরথকে তরকারি রান্না করার নাম করে তাকে ফাঁকা বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। মেয়েটি সরল বিশ্বাসে তার ঘরে গেলে কথাবার্তার এক পর্যায়ে চাচারুপি পাষন্ড লম্পট ভগিরত তার মুখ চেপে ঘরের মধ্যে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। এরপর সে মেয়েটিকে ভাওতা দিয়ে একই ভাবে বারং বার সাবিত্রিকে দিয়ে ডাকিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষন করে। আর এ সময় উপরোক্ত সহযোগী স্কুল ছাত্ররা তাকে পাহারা দেয় বলে জানায় ধর্ষিতা মেয়েটি। সর্বশেষ বিষয়টি জানাজানি হলে গত বৃহস্পতিবার বিকালে মেয়েটির শারিরীক অবস্থা দেখে। অভিভাবকরা তার কাছে জানতে চাইলে মেয়েটি সত্য কথা স্বীকার করে জানায় সে অন্তঃসত্তা। বাবা-মা স্থানীয় মেম্বর শচীন্দ্র মন্ডলকে বিষয়টি জানালে তিনি গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা বসেন শালিসে বৈঠকে বসেন। বিষয়টি সুরাহা না হওয়ায় পরবর্তীতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উল্লেখিত ব্যক্তিগনসহ উভয় পক্ষের অভিভাবকের উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার পুনরায় শালিস বৈঠকে ক্ষতিপুরন হিসাবে মেয়েটির পরিবারকে নগদ ১ লক্ষ টাকা ও অবৈধ গর্ভপাত করানোর খরচ দেয়া হবে বলে জানিয়ে দেন শালিসকারকরা। সোমবার মেয়েটিকে লম্পট ভগিরথ এর মামা বামনডাঙ্গা গ্রামের মনিন্দ্র নাথ ঢালী প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে ইতো মধ্যে গর্ভপাত করাতে সাতক্ষীরার উদ্দ্যেশ্যে রওয়ানা হলে পথিমধ্যে থেকে মেয়েটির অভিভাবক তাকে ফিরিয়ে আনে। এভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি মহল উঠেপড়ে লেগেছে। ভগিরথের ভাই পবিত্র মন্ডল ও উক্ত মামা গর্ভপাত করাতে মেয়েটিকে নিয়ে বিভিন্ন গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবার জন্য বিভিন্ন মহল দিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে ধর্ষিতা অন্তঃসত্বা নাবালিকা মেয়ের পিতা বিশ্বনাথ থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে মেয়ের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।