আড়ংঘাটা প্রতিনিধি : ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর কালিতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র বাপ্পী বৈরাগী (১৬) নামে একজন ছাত্র বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। সে রংপুর বটতলা এলাকার হারিচাঁদের ছেলে। বাপ্পীর পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একই বিদ্যালয়ের একটি মেয়ের সাথে বাপ্পীর প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে গত ২৫ জানুয়ারী তার পিতা হরিচাঁদের সাথে ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেয়ে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠান ময়না তদন্ত শেষে গতকাল বিকালে লাশ তার পরিবারের নিকট হস্থান্তর করে। এ ব্যাপারে আড়ংঘাটা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। যার নং-০১, তারিখ-২৫-০১-১৮। বাপ্পীর আত্মহত্যায় এলাকার শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কালিতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাধিক ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ বাপ্পী বৈরাগীর আত্মহত্যার জন্য রংপুর কালিতলার জোদ্দার বাড়ির কোচিং সেন্টারের পরিচালক বিশ্বজিৎ জোদ্দার দায়ী। কথিত কোচিং শিক্ষক তার নিজ বাড়িতে কোচিংয়ের আড়ালে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গড়ে তুলেছে অবৈধভাবে মেলা-মেশার সুযোগ। যার টানে এলাকার সিংহভাগ ছাত্র ছাত্রী সেই জোদ্দারবাড়ির কোচিং-এ পড়তে তাদের অভিভাবকদের কাছে আবদার করে। রংপুর কালিতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্র এবং শিক্ষক বলেন, সম্প্রতি এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে সেই জোদ্দার বাড়ির কোচিং সেন্টারের গোপন কক্ষে যেখানে আত্মহত্যাকারী বাপ্পী ও তার প্রেমিকাকে এলাকাবাসী অনৈতিক কাজে লীপ্ত থাকা অবস্থায় ধরে আটকে রাখে। ঘটনার পর থেকে বাপ্পী বাড়ী থেকে বের হয়নি পরিশেষে লজ্জায় ও ক্ষোভে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এলাকার ছাত্র-ছাত্রী , অভিভাবক ও এলাকাবাসী জোদ্দারবাড়ির কোচিং সেন্টার বন্ধের দাবী জানান এবং বিশ্বজিৎ জোদ্দারের কোচিংয়ের আড়ালে আর যেন কোন বাপ্পী আত্মহত্যার পথ বেছে না নেয় সেদিকে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে।