আড়ংঘাটায় স্বামী, শ্বশুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশঃ ২০২৩-০১-১৬ - ১৩:৪৩

ইউনিক ডেস্ক : নগরীর আড়ংঘাটা থানার খানাবাড়ী এলাকায় গর্ভের সন্তান নষ্ট এবং বেতনের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা এবং ঘরের স্বর্ণালঙ্গারসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির অভিযোগে আড়ংঘাটা থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী এক নারী (মামলা নং-৫, তাং-১৪/১/২৩)। মামলায় ভিকটিমের স্বামী মিজানুর রহমান (৪৩), মিজানুর রহমানের প্রথম স্ত্রী নাছরিন সুলতানা নিপা (৩৮), শ্বশুর আ. হামিদ (৬৭) এবং নোমানুজ্জামান রাজা (৪২) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আড়ংঘাটা থানায় মামলার পর পুলিশ কেসিসি ৩নং ওয়ার্ডের কাঠমিস্ত্রীর বাসা থেকে চুরি যাওয়া ফার্ণিচারের এক ভ্যান কাঠ উদ্ধার করেছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আড়ংঘাটা থানা এলাকার মহোরী শফীর বাড়ির ভাড়াটিয়া রুমা খন্দকার মুন্নিকে দৌলতপুর থানার উত্তর বনিকপাড়া এলাকার আ. হামিদের পুত্র মো: মিজানুর রহমান প্রথম স্ত্রীর কথা গোপন করে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি বিয়ে করে। বিয়ের পর মিজান তার প্রথম স্ত্রী ও সেই ঘরের সন্তানের ভরনপোষনের জন্য চাপ সৃষ্টি করে রুমা খন্দকার মুন্নির চাকরির বেতনের টাকা প্রতিমাসে জোর করে নিয়ে নেয়। টাকা দিতে অস্বীকার করায় রুমা খন্দকার মুন্নির উপর বিভিন্নভাবে শারিরিক নির্যাতন করে। এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়। গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু রাজি না হওয়ায় গত ১ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় তাকে আগুনে পুড়িয়ে মারার উদ্দেশ্যে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় তার ঘর থেকে নগদ ৩লক্ষ টাকা, স্বর্ণের একটি চেইন, গলার সেট যার আনুমানিক মূল্য ১লক্ষ টাকা, ঘরের ফার্নিচার বানানোর ১লক্ষ ২০ হাজার টাকার কাঠসহ প্রায় ৪লক্ষ টাকার মালামাল এবং ব্যাংকের একটি চেক নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রুমা খন্দকার মুন্নি বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় স্বামী মিজানুর রহমান, প্রথম স্ত্রী নাছরিন সুলতানা নিপা, শশুর আ. হামিদ এবং কলম সরদারের পুত্র নোমানুজ্জামান রাজাসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আড়ংঘাটা থানার এস আই আজাহার জানায়, মামলার অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার অভিযান পরিচালনাকালে চুরি যাওয়া ফার্ণিচারের এক ভ্যান কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে।