তবে সাত থেকে আট সপ্তাহ পর পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ায় ওই দেশগুলোতে শিথিল করা হচ্ছে বিধিনিষেধ। ইতালিতে সোমবার থেকে দুই মাস পর লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে বাইরে বের হয়ে ব্যায়াম ও জগিং করার অনুমতি মিলেছে। এমনকি আত্মীয়ের বাড়িতে যেতে পারবেন কিন্তু পারবেন না বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে। তবে স্কুল, সিনেমা হল ও বেশিরভাগ দোকান বন্ধ থাকবে আরও কিছুদিন। এছাড়া জুনের আগে বার ও রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়ার অনুমতি মেলেনি।
ফ্রান্সে স্বাস্থ্য সতর্কতার মেয়াদ বেড়েছে আরও দুই মাস। দেশটিতে লকডাউন শেষ হবে ১১ই মে। এরইমধ্যে দেশটির কিছুকিছু জায়গায় খুলেছে মাছসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। প্রয়োজন ছাড়া ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে ভ্রমণ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে দেশটিতে। স্পেনে অন্তত দেড় মাস পর মৃত্যুর হার নেমেছে দুইশোর নিচে। শনিবার থেকে অনুমতি দেয়া হয়েছে বাইরে ব্যায়াম করার। একই সঙ্গে সোমবার থেকে পাবলিক পরিবহণ, সেলুন ও দোকানগুলোতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ফেস মাস্ক। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কঠোর লকডাইন পালনে স্পেনবাসী যে মূল্য দিয়ে তারই সুফল পাচ্ছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক সপ্তাহ পর সোমবার মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। নিউ ইয়র্কে বন্ধ করা হয়েছে জরুরি ভিত্তিতে তৈরি অস্থায়ী হাসপাতাল। সংক্রমণ রোধে বিশেষ কিছু এয়ারলাইন্সে ফেস মাস্ক বাধ্যতামূলক করে দেশটি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, করোনার মহামারিতে প্রায় ১ লাখ মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু হতে পারে, এটি এখন বিশ্বাসযোগ্য বিষয়। এমনকি এ বছরের শেষের দিকে ভ্যাকসিন পাওয়ার দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কয়েকদিনে যুক্তরাষ্ট্রের মোট অঙ্গরাজ্যগুলোর প্রায় অর্ধেক থেকেই আংশিকভাবে লকডাউন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সেখানকার গভর্নররা। আংশিক সচল হয়েছে অর্থনীতি।
লাতিন আমেরিকার হটস্পট ব্রাজিলে কয়েকদিনের ব্যবধানে মৃত্যুর হার কমেছে। তবে সেখানে মরদেহ নিয়ে বিপাকে সরকার। স্থান সংকুলান না হওয়ায় কেউ কেউ পুড়িয়ে ফেলছে মরদেহ, আর গণকবরও হচ্ছে।
করোনার মাহামারিতে মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসায় দুই মাস পর বিধিনিষেধ শিথিল করছে ইরান। তেহরানে খুলে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন দোকানপাট, চালু হয়েছে সিনেমা হলও। সেখানে দেখা গেছে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের ভিড়।
অন্যদিকে, ভারতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর মধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের সবুজ জোনে সোমবার থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে বার। আর লকডাউনের কারণে অন্য রাজ্যে আটকে পড়াদের ফেরাতে বিভিন্ন রাজ্যে থেকে চালু হয়েছে বিশেষ ট্রেন।