ইভিএম মেরামতের জন্য ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা চেয়ে ইসির চিঠি

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-২২ - ১২:৪২

ইউনিক ডেস্ক : : ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মেরামতের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার বিকেলে এ সংক্রান্ত চিঠি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, দ্বাদশ জাতীয় সংসদে ইভিএম ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। হাতে থাকা ১ লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামতের জন্য ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন। বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।

সোমবার নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, হাতে থাকা দেড় লাখ মেশিনের মধ্যে ৪০ হাজার মেরামত অনুপযোগী। অবশিষ্ট এক লাখ ১০ হাজার মেশিন মেরামতে জন্য এক হাজার ২৬০ কোটি টাকা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, টাকার নিশ্চয়তা আমরা এখনো পাইনি। কাজেই টাকার নিশ্চয়তা না পেলে আমরা এই কাজ করবো, শেষ পর্যন্ত দিতে পারবো না টাকা, সেটা তো ঠিক হবে না। টাকার নিশ্চয়তা যদি পাওয়া যায়, আমরা অর্থ বছর ভিত্তিক- এই অর্থ বছরে অর্ধেক দেওয়ার জন্য, পরবর্তী অর্থ বছরে বাকি অর্ধেক দেওয়ার জন্য- এরকম একটা প্রস্তাব আমরা পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। অন্যথায় যদি টাকা না পাওয়া যায় তাতেও আমাদের সিদ্ধান্তে আসতে হবে কী করবো। ব্যালটে কতটা করবো বা ইভিএমে আদৌ করবো কি-না। কাজেই সবটাই নির্ভর করবে অর্থ প্রাপ্তির ওপর।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল তৎকালীন কে এম নূরুল হুদা কমিশন। সে সময় জাতীয় নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করেছিল তারা। বাকিগুলো বিভিন্ন আসনের উপ-নির্বাচনসহ স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়। কিছু মেশিন বিএমটিএফ-এর ওয়্যারহাউজে সংরিক্ষত আছে। সবমিলিয়ে এক লাখ ১০ হাজার মেশিন ব্যবহারযোগ্য করে তুলতে হবে। সেগুলোই এখন মেরামত করার ওপর নির্ভর করবে সংসদ নির্বাচনে ব্যবহারযোগ্য মেশিনের সংখ্যা। আর এটি নির্ভর করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দেওয়া অর্থ বরাদ্দের ওপর।