আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আবারও মিউটেশন (জিনগত বদল) হচ্ছে করোনাভাইরাসের। ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, করোনার প্রজাতি ওমিক্রনের বদল ঘটে আরও দুই নতুন প্রজাতি জন্ম নিয়েছে। ইসরায়েলে এই দুই প্রজাতির সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, এক দম্পতি বিদেশ সফর সেরে ইসরায়েলে ফেরার পরে তাদের আরটি-পিসিআর পরীক্ষা হয়েছিল। তাতেই সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষায় দেখা গেছে কোভিডের নতুন ভেরিয়েন্টটি বিএ.১ বা ওমিক্রন এবং বিএ.২ (ওমিক্রনের সাব-ভেরিয়েন্ট) এর মিশ্রণ।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, নতুন এই ভাইরাসটি আসলে দুই প্রজাতির সংমিশ্রণ। ওমিক্রন বা বিএ.১য়ের সঙ্গে মিশে গিয়েছে বিএ.২।
ভাইরোলজিস্টরা বলছেন, নতুন এই প্রজাতিতে অন্তত ৫০টি মিউটেশন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যার মধ্যে স্পাইক প্রোটিনেই (এস) ৩০ বার অ্যামাইনো অ্যাসিডের কোড বদলে গেছে। মানুষের শরীরে এই প্রজাতি খুব দ্রুত ছড়াতে পারে।
ওমিক্রন কতটা প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওমিক্রনের সংক্রমণে খুব জটিল রোগ হতে এখনও দেখা যায়নি। এটি ফের মহামারি তৈরি করবে নাকি থমকে যাবে সেটি সময়ই বলে দেবে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, তবে এই প্রজাতি যেহেতু খুব দ্রুত মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আরও একটা বৈশিষ্ট্য রয়েছে ওমিক্রনের। এটি অ্যান্টিবডির ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। অ্যান্টিবডি ভাইরাল স্ট্রেনের সঙ্গে জুড়ে গিয়ে সেটিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়, কিন্তু ওমিক্রনের এমন ক্ষমতা আছে যা অ্যান্টিবডির গুণই নষ্ট করে দিতে পারে।
ভাইরোলজিস্টদের মতে, সংক্রামক ভাইরাস যত বেশি মানুষের শরীরে ছড়াবে, ততই তার জেনেটিক সিকুয়েন্স বা জিনগত বিন্যাসের বদল হবে। মানুষের শরীরে ছড়াতে হলে ভাইরাসকে সংখ্যায় বাড়তে হবে, তাই দ্রুত তার বিভাজন হবে। আর যত বেশি বিভাজন হবে ততই ভাইরাস নিজেকে নতুন করে গড়ে নেবে।