দাকোপ প্রতিনিধিঃ বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে নানামুখি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে চলছে। আমরা জানি এক সময়ের সোনালী আশ পাট আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। যে কারনে পাটচাষকে লাভজনক করতে দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলের লবনাক্ত আবহাওয়ার সাথে টেকসই পাটের জাত উদ্ভাবনে পাটগভেষনা ইনিস্টিটিউটকে কাজে লাগাতে শেখ হাসিনার সরকার এই খাতে বিশেষ নতুন বরাদ্দ দিয়ে মৃতঃপ্রায় গভেষনায় নতুন জাগরন সৃষ্টি করেছে। তারই ফসল আজ এ অঞ্চলের আবহাওয়া পরিবেশের যুগপযোগী পাটের নতুন জাত উদ্ভাবন হয়েছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকারের এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনে নৌকাকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় আনতে হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দাকোপ উপজেলা অডিটোরিয়ামে এক মাঠদিবস ও কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পাট গভেষনা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পাট ও পাট জাতীয় ফসলের কৃষি উদ্ভাবন ও হস্তান্তর প্রকল্পের আয়োজনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন প্রকল্প পরিচালক নজরুল ইসলাম। দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আরো বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পাট গভেষনা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মনজুরুল আলম, দাকোপ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর খুলনা খামারবাড়ীর উপপরিচালক মোঃ আব্দুল লতিফ, খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উপপ্রকল্প পরিচালক ড. মাহমুদ আল হোসেন, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য জয়ন্তী রানী সরদার, কে এম কবির হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, ইউপি চেয়ারম্যান বিনয় কৃষ্ণ রায়, রঘুনাথ রায়, পঞ্চানন মন্ডল, জেলা কৃষকলীগের সহসভাপতি শেখ ফরিদ আহম্মেদ, জেলা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের সভাপতি ফরিদ রানা, দাকোপের পাটচাষি ফনিভুষন মন্ডল, রীনা পাইক প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন দাকোপ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন। অনুষ্ঠানে পাটচাষ এবং উদ্ভাবিত জাতের উপর একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলার প্রান্তিক চাষি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মি, সুধীমহলসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ অংশ গ্রহন করে।