উন্নয়ন প্রকল্পে ‘প্রগতি’ ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহারের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-২২ - ১৩:০০

ইউনিক ডেস্ক : উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি গাড়ির পরিবর্তে দেশে তৈরি প্রগতি ব্র্যান্ডের গাড়ি ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে বিদেশি গাড়ির পরিবর্তে দেশি গাড়ি ব্যবহার করতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান জানান। একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগর এনইসি মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এক হাজার ৭৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ সেগুলো পড়ে আছে। এসব ভবন কাজে লাগাতে হবে। ভবন ফেলে রাখা যাবে না। দক্ষ জনবল নিয়োগ দিয়ে যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার করতে হবে। এরই মধ্যে কেনা হয়েছে এমন যন্ত্রপাতি ও নির্মিত ভবন ফেলে রাখা যাবে না।

একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্পের নামে শুধু ভবন তৈরি করলে চলবে না। প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব স্বাধীন হতে হবে। প্রকল্প ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন কৃষিপণ্য রফতানি বাড়াতে ও রফতানির সুযোগ দেখতে হবে। জমি পতিত (ফেলে রাখা) রাখা যাবে না। চিংড়ির ঘেরে বন্যা, জলোচ্ছ্বাসে পলি পড়ে গেলে সেগুলো ঠিক রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী দেশি মাছের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিদেশি রাক্ষুসে মাছ এনে যেন ক্ষতি না করা হয়। ‘দারিদ্র্য দূরীকরণ’ শব্দ বাদ দিয়ে ‘দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়ন’ নামে শব্দ ব্যবহার করতে হবে প্রকল্পে।

একনেকে ৯ প্রকল্প অনুমোদন: জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৯টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে ব্যয় হবে এক হাজার ৭৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানান, এক হাজার ৭৩০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয় সম্বলিত ৯টি প্রকল্পের মধ্যে সরকারের অর্থায়ন ৬৩৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে এক কোটি ৪৪ লাখ টাকা ও বৈদেশিক অর্থায়নে এক হাজার ৯৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ সংসদ সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১১২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ প্রকল্প, মংস্য মন্ত্রনালয়ের ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দু’টি প্রকল্প যথাক্রমে ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের সমীক্ষা’ (২য় পর্যায়) প্রকল্প এবং ‘বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্প (৩য় পর্যায়)’ প্রকল্প।

এছাড়া আরও রয়েছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি প্রকল্প’ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ‘দ্য প্রজেক্ট ফর দ্য ইমপ্রুভমেন্ট অফ ইকুপমেন্ট ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ প্রকল্প, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকা কারিগরি শিক্ষক: প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন’ (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘প্রিপেইড গ্যাস মিটার আপন’ (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প।