ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা প্রতিনিধিঃ উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩ দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলায় দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। শনিবার দিন ব্যাপী হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মেলা যেন হয়ে উঠছিল মানুষের মিলন মেলায়। সরকারি ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্টলে বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড দেখে সাধারন মানুষ বেশ খুশি হয়ে বাড়ি ফিরছিল। মেলায় আশা দর্শনার্থী মদিনাবাদ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী সানজিদা খাতুন বলেন,ইতিপুর্বে এ ধরনের মেলা কয়রায় এর আগে সে কোন দিন দেখেনি। বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কর্মকার্ন্ড দেখে সে অনেক কিছু জানতে পেরেছে। শাকবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা লিপি বেগম বলেন, এ ধরনের মেলা দরকার,সকল শ্রেনী পেশার মানুষ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের বিষয় জানতে পারছে। তিনি শিক্ষা ক্ষেত্রে আমুল পরিবর্তন হয়েছে বলে জানিয়েছে। দক্ষিন বেদকাশি ইউনিয়নের ঘড়িলাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র আমিরুল ইসলাম বলেন,কয়রার উন্নয়ন মেলা আমাকে খুবই আকর্ষন করেছে। আমি জীবনে এরকম মেলা আগে দেখিনি। শিক্ষা ক্ষেত্রে এ মেলা আমার জীবনে অনেক কাজে লাগবে। কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিস ও উপজেলা ভুমি অফিস এবং উপজেলা পরিষদের ষ্টলে উপস্থিত স্থানীয় জনসাধারন প্রতিনিয়ত সেবা গ্রহন করেছে।এ ছাড়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের কাঠের ব্রীজ দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।কয়রা থানা পুলিশের মহড়া দেখে সাধারন মানুষ আনন্দ উপভোগ করতে পেরেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের শিক্ষামুলক কাজ ছিল ভাল। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবিএম নাজমুল হকের প্রচেষ্টায় উন্নয়ন মেলার ১৫০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়ে আসা পিঠা উৎসব সকল মানুষের মন কাড়তে সক্ষম হয়। তবে সে ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিলনা বিআরডিবি অফিস তারাও মেলায় পিঠা উৎসব পালন করার পাশাপাশি বিভিন্ন উন্নমুলক দিক তুলে ধরতে পেরেছিল মেলায়। তবে মেলায় পশ্চিম সুন্দবনের কাশিয়াবাদ ষ্টেশনের ষ্টলে গোলপাতা,গোলফল,গোলফুল,সুন্দরবনের পশুর কাঠের বাটেক্স,মধু সকলকে বিশেষভাবে আকর্ষন ছিল দেখার মতো। উপজেলা কৃষি,মৎস্য অফিসের ষ্টলে বিভিন্ন প্রর্দশনী তৈরি করে মাছ চাষ,ধান চাষ, স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যজীবিদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা সাধারন মানুষের কাছে খুবই ভাল-দিক ছিল বলে অনেকেই জানিয়েছেন।পরিবার পরিকল্পনা অফিসও মানুষের মাঝে সেবা প্রদান করেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়নের স্টলে গ্রামীন উন্নয়ন বিভিন্ন কাজ দেখতে পেরেছে মেলার জনগন। দারিদ্র বিমোচনে পল্লী দারিদ্র অফিস ও একটিবাড়ি একটি খামার অফিসের স্টলে জানান দিয়েছিল তাদের উন্নয়নমুলক কর্মকার্ন্ড। কোন দিক দিয়ে পিছু ছিলনা সেটেলমেন্ট অফিস জমি-জায়গার বিভিন্ন সেবা তারাও প্রদান করেন। জনস্বাস্থ্য অফিস মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে সেবা প্রদান করেন। যুব উন্নয়ন অফিস,উপজেলা হিসাব রক্ষন অফিস ও খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসও মেলায় আর্কাষন রেখেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা বলেন,সকলের প্রচেষ্টায় কয়রার উন্নয়ন মেলা মানুষের কাছে আকর্ষনীয় করার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যাবস্থা করা হয়। উপকুলীয় জনপদ কয়রার উন্নয়ন মেলায় দর্শকদের উপস্থিতি ছিল খুবই ভাল বলে তিনি মন্তব্য করেন।