উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গণনা চলছে

প্রকাশঃ ২০১৯-০৩-১০ - ১৬:২৯

ঢাকা অফিস : পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম দফা ভোট গ্রহণ শেষ; চলছে গণনা। আজ রবিবার সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোট গ্রহণ চলে। সকালের দিকে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ে।

এদিকে, প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণের সময় নানা অনিয়ম, কারচুপি এবং সংঘর্ষের ঘটনায় ১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আটক করা হয়েছে প্রিজাইডিং অফিসারসহ চারজনকে।

নানা অনিয়মের কুড়িগ্রামে ৯টি, সিরাজগঞ্জে ৩টি, সুনামগঞ্জে ৬টি, রাজশাহীতে ১টি ও হবিগঞ্জে ১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। কুড়িগ্রামের উলিপুর ও নাগেশ্বরী উপজেলার ৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত এবং সুনামগঞ্জের শালনা উপজেলার কাশিপুর ভোটকেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ভোট গ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়।

এছাড়া কারচুপিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রিজাইডিং অফিসারসহ সাতজনকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আর ভোটগ্রহণের সময় জয়পুরহাটের কালাইয়ে গোলযোগ সৃষ্টির দায়ে ইউপি সদস্যকে দশ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

উপজেলা নির্বাচনে অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগে আজ রবিবার সকালে একজন প্রিজাইডিং অফিসার এবং দুইজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোটের আগের রাতেই অনিয়মের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। আটক হওয়া কর্মকর্তারা হলেন, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের মাহমুদপুর সরাকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মো. আনোয়ার হোসেন, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার বেল্লাল হোসেন এবং আলীম শেখ।

এবার পাঁচ ধাপে অনুষ্ঠিত হবে উপজেলা নির্বাচন হবে। এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১২টি জেলার ৭৮টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৮৪২ জন প্রার্থী। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২০৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৩৮৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ২৪৯জন। মোট ভোটার সংখ্যা ১ কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার ৮৫০জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৫ হাজার ৮৪৭টি। এরমধ্যে, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৯ জন নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রথম ধাপে ৮৭টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে ৫ই ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তবে, আইনি জটিলতাসহ নানা করণে ছয়টি উপজেলায় ভোট স্থগিত করা হয়। স্থগিত ছয়টির মধ্যে তিনটি আদালতের নির্দেশে এবং তিনটিতে নির্বাচন কমিশন ভোট গ্রহণ স্থগিত করে। আদালতে নির্দেশে রাজশাহীর পবা, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া এবং কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলায় ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।

নাটোর সদর, জামালপুরের মেলান্দহ এবং মাদারগঞ্জ এ তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ বাতিল করে নির্বাচন কমিশন । এই তিন উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস-চেয়ারম্যান জয়লাভ করায় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত নেয় হয়।

এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাব খাটানোর অভিযোগে লালমনিরহাটের আদিতমারী, নেত্রকোনার পূর্বধলা ও সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ভোট একদিন আগে বন্ধ করা হয়েছে।