মহিদুল ইসলাম শাহীন, খুলনা: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী পরিবর্তনের গুন্জন রয়েছে রাজনৈতিক শিবিরে। খুলনা জেলার সবকটি আসনে বড় দুটি রাজনৈতিক শীর্ষ নেতাদের আভাসে আগামীতে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় জেগে উঠেছে উভয় দলের ডজন খানেক নতুন নেতৃত্ব। ইতি মধ্যেই কেউ কেউ ভোটারদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেছন। যদিও সংসদ নির্বাচনী ময়দানে তারা নতুন তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাদের যথেষ্ট পরিচিতি রয়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাশী এই তরুন নেতৃত্বের মধ্যে অধিকাংশই ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত। এ ছাড়া সাবেক ছাত্রনেতা ও ব্যবসায়ীদের নাম রয়েছে এই তালিকায়। এদিকে প্রবীনদের বুদ্ধি ও নবীনদের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আগামী নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে আনার প্রত্যাশা দল দুটির শীর্ষ নেতাদের। বিশেষ করে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী খুলনা আগমনে ক্ষমতাসীন দল সমর্থিত তরুন নেতৃত্ব নতুন করে জেগে উঠেছে। দলীয় সভানেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষনে ব্যাপক শোডাউন করেছে। তার মধ্যেই বটিয়াঘাটা উপজেলা আ,লীগের সভাপতি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তিনি ৬৫ টি বাস, ১৭ টি ট্রাক, ১৩ টি ট্রলার, ১১ পিকাপসহ প্রয় ১১/১২ হাজার মহিলা নিয়ে শোডাউনের মাধ্যমে সার্কিট হাউজ মাঠে প্রবেশ করেন। যা দেখে অনেক নেতাকর্মী বিভিন্ন মন্তব্য করেছিল। অন্যদিকে পরিবর্তনের প্রত্যাশায় রাজনৈতিক, সামাজিক ও শোডাউনের মতো কর্মকান্ড চালিয়ে যারা প্রথম সারির আলোচনায় এসেছেন তারা হলেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষপুত্র বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড পরিচালক শেখ সোহেল সম্ভাব্য খুলনার যে কোন আসন, আ,লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য এস এম কামাল হোসেন সম্ভাব্য খুলনার যে কোন আসন, খুলনা বিভাগীয় শ্রেষ্ট পুরস্কার প্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান বটিয়াঘাটা উপজেলা আ,লীগ সভাপতি শহীদ পরিবারের সন্তান মোঃ আশরাফুল আলম খান সম্ভাব্য খুলনা ১ আসন, বিএনপি মহানগর কোষাধ্যক্ষ এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, বিএনপি যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ তরিকুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা এস এম মোর্ত্তোজা রশিদী দারা, নগর আ,লীগ সভাপতি এ্যাড,সাইফুল ইসলাম সম্ভাব্য খুলনা ২ আসন, নগর যুবলীগের আহবায়ক এ্যাড,আনিচুর রহমান পপলু, বিজেএর চেয়ারম্যান দৌলতপুর থানা আ,লীগ সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, সোনাডাঙ্গা আ,লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, জেলা বিএনপি সভাপতি শফিকুল আলম মনা, জেলা আ,লীগের সিঃ সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবু, দাকোপ উপজেলা আ,লীগ সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন, মহানগর আ,লীগ যুগ্ন সম্পাদক সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ নুর ইসলাম বন্দ, মহানগর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মনিরুজ্জামান সাগর, খালিশপুর থানা আ,লীগের সভাপতি সানাউল্লাহ নান্নু, থানা আ,লীগ সাঃ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বন্দ, জেলা পরিষদ সদস্য উপজেলা আ,লীগ সাঃ সম্পাদক দিলীপ হালদার, চেয়ারম্যান হাদী উজ্জামান হাদী, আরাফাত রহমান কোকো সৃতি সংসদ খুলনা মহানগরী সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম প্রমুখ। নবীনদের তালিকায় বেস যোরেসোরে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে প্রথম বারের মতো যারা নির্বাচনী যুদ্ধে আসতে পারেন সেসব তরুন নেতাদের কর্মকান্ড নিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে সদর দ্প্তরে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে। তবে এ বিষয় পুলিশের কোন কর্মকর্তা মুখ খুলতে রাজি হননি। তরুন নেতাদের নির্বাচন মুখি কর্মকান্ডকে ইতিবাচক বলেছেন খুলনা মহানগর আ,লীগ সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ও মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি। খুলনা জেলা ও মহানগর মিলে ৬ টি আসন। সকল আসনে নতুন মুখের ছড়াছড়ি এমনকি পোষ্টার, প্যানা, বিলবোর্ড,ফেষ্টুন দেখে মনে হচ্ছে পুরোদমে নির্বাচনী হাওয়া বইছে তরুন প্রার্থী ও সমার্থকদের মনে। এসকল তরুন প্রার্থীরা পুরোদমে গনসংযোগ করে চলেছে। এলাকায় জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য বর্তমান এমপি ও সাবেক এমপিদের বিগত দিনের ফিরিস্তা গোপনে ভোটারদের কাছে তুলে ধরে নিজের অবস্হান জানান দিচ্চে। এসকল তরুন নেতারা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া, ওবায়দুল কাদের, সজিব ওয়াজেদ জয় বা শেখ হেলাল এর ছবি দিয়ে রংবেরঙ্গের পোষ্টার তৈরি করে তাদের নিজ নিজ এলাকা বাসিদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে চলেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক তরুন এমপি প্রার্থী একান্ত স্বাক্ষাতে বলেন, বর্তমান যে সব এমপি আছেন তারা বেশির ভাগ বয়স্ক, অসুস্থ বা জনশুন্যেও ভাটার মতো অবস্হা তাছাড়া দেশ ডিজিটালে উন্নিত হয়েছে আমরা তরুন তাই ডিজিটাল দেশ গড়তে হলে চাই ডিজিটাল নেতৃত্ব। তার পরেও দলীয় হাই কমান্ডের কাছে অনুরোধ জানাই জনমত জরিপ করে তৃনমূলের মতামক নিয়ে যদি মনোনয়ন দেয় সেক্ষেত্রে তরুনরা অগ্রধিকার পাবে বলেই আশা করছি। তাছাড়া যদি কেন্দ্রে বসে বসে মনগড়া মনোনয়ন দেয় তখন নিশ্চিক ভরাডুবি হবে এতে কোন সন্দেহ নাই।