ইউনিক প্রতিবেদক :
এবার তেল-সবজির দাম সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে গত কয়েকদিনে জাতীয় জরুরি সেবার নম্বর ৯৯৯-এ কল করেছে সহস্রাধিক মানুষ। মোটাদাগে জানতে চাওয়া হয়- সবজির দাম কমবে কবে, রোজায় দাম বাড়বে নাকি কমবে, মশলার দাম বাড়ছে কেন, সয়াবিন তেলের দাম এত বেশি হওয়ার কী কারণ, রোজায় চিনির দাম কী বাড়বে?
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরো জানায়, এ বছরের জানুয়ারিতে মোট ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৭২৫টি কল এসেছে ৯৯৯-এ। এর মধ্যে জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত না থাকা কলের সংখ্যা ১ লাখ ২৭ হাজার ৩১০টি। এসব কলের বেশিরভাগই দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত, করোনা সংক্রান্ত ৫ হাজার ২৫২টি, শব্দ দূষণ সংক্রান্ত ২ হাজার ৯১১টি, জমি দখল সংক্রান্ত ১ হাজার ৭০৩টি, পারিবারিক সমস্যা সংক্রান্ত ১ হাজার ৩৩৫টি, জুয়া সংক্রান্ত ৬২৮টি।
এ বিষয়ে ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, ইদানিং তারা দ্রব্যমূল্য সংক্রান্ত প্রচুর কল পাচ্ছেন। শনিবার এ ধরনের অন্তত ৪টি কল ধরেছেন একজন অপারেটর। সেবা গ্রহণকারীরা জানতে চেয়েছেন, জিনিসপত্রের এত দাম কেন, কোথায় যাবেন, কী খাবেন, কীভাবে চলবেন তারা?
এসব সেবা গ্রহণকারীদের আর্থিক সহায়তার জাতীয় কল সেন্টার ‘৩৩৩’-এ যোগাযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্য দাম বেশি রাখলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে যোগাযোগের কথা বলা হচ্ছে। জনসাধারণের সুবিধার্থে এ ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয়।
জরুরি ভিত্তিতে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স ও পুলিশি সহায়তার জন্য ৯৯৯ চালু করে সরকার। সেটিতে এখন নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে তথ্য জানতেও কল করছেন সাধারণ মানুষ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এমন পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।