ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠিতে এক অনুষ্ঠানে এমপির সামনে ছাত্রলীগের দুই নেতার হাতাহাতির ঘটনায় ছাত্রলীগের এক জনকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। বহিস্কৃত মাহমুদুল হাসান জেলার রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি।
ঘটনার পর ৯ জুলাই রাতে ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক ও সাধারণ সম্পাদক এস.এম আল আমিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে এ বহিস্কার আদেশে দেয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে সংগঠনের নিয়ম বর্হিভূত, সংগঠন বিরোধী ও অসামাজিক কাজে জড়িত থাকার প্রমান রয়েছে। বিগত দিনেও মৌখিক ভাবে তাকে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি সংযত হননি।
বিগত দিনে এবং বর্তমানে তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড বাংলাদেশে ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র বিরোধী।
আর এ কারণে ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির নির্দেশ মোতাবেক রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি মাহমুদুল হাসানকে বহিস্কার করা হলো।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠি জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক মুঠোফোনে বলেন, মাহমুদুল হাসান দীর্ঘ দিন ধরে নানা কর্মকান্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আসছিল। তাকে একাধিক বার সংযত হওয়ার জন্য মৌখিক ভাবে আমি বলেছি।
রোববার রাজাপুরে স্থানীয় এমপির সামনে হাতাহাতির ঘটনার খবরটি প্রকাশিত হলে বিষয়টি ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির দৃষ্টিতে পড়ে।
পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশ মোতাবেক জেলা ছাত্রলীগ জরুরী সিদ্ধান্ত নিয়ে মাহমুদুল হাসানকে রাজাপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ থেকে বহিস্তার করা হয়।
আরো প্রসঙ্গত, রোববার সকালে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার রাজপুর ডিগ্রী কলেজের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য বিএইচ হারুনের সামনেই ছাত্রলীগের দু’নেতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এমপির সাথে হাটাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান ও ছাত্রলীগ সদস্য রাজিব ফরাজীর মধ্যে এ হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় এমপি হারুন সহ উপস্থিত অতিথিরা হতভম্ব হয়ে পড়েন। পরে পুলিশ সাংসদ হারুনকে নিরাপদে সভামঞ্চে উঠিয়ে দেন।
পরে সাংসদ হারুণ এবং স্থানীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগের ওই দুই নেতার মধ্যে সমঝোতা করিয়ে দেন। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে অনুষ্ঠান শুরু হয়।