ইউনিক ডেস্ক : কলারোয়ায় অফসিজন হলুদ তরমুজ চাষ করে সফল হওয়া বেকার কৃষক সেলিম হোসেন এলাকাবাসীকে চমক দেখালেন। তার ক্ষেত দেখলে চোখাজুড়িয়ে যায় আর খেতেও রসালো ও সুস্বাদু এই হলুদ তরমুজ। বিক্রি করে লাভের স্বপ্ন দেখছেন ওই যুবক। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ওফাপুর মাঠে সেলিম হোসেনের খেতে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ কচি লতাপাতার মাঝে ঝুলছে হলুদ রঙের তরমুজ। ছোট-বড় তরমুজে নুয়ে পড়েছে মাচা। দেখতে যেন হলুদের সমারহ। কলারোয়া উপজেলায় এই প্রথম মালচিং পদ্ধতিতে ইয়োলো কিং তরমুজ চাষ করা হয়েছে। তাই এ তরমুজ চাষ দেখতে ভিড়ও করছেন এলাকাবাসীরা। তিনি গত বছর ৪ বছর ধরে বেকার জীবণ ঘোচাতে টমেটো ও ধান চাষ করে হয়েছেন সফল কৃষক। তাই এবার উপজেলা কৃষি অফিসের সর্বিক সহযোগিতায় করেছেন হলুদ তরমুজের চাষ। চায়না জাতের এ তরমুজ চাষেও সফল হবেন বলে আশাবাদী কৃষক সেলিম হোসেন। চাষি সেলিম হোসেন জানান, এ বছর তিনি ২৬ কাটা জমিতে হলুদ তরমুজ চাষ করেছেন। তিনি ৩৮ হাজার টাকা খরচ করে গত জুন মাসের ১০ তারিখে হলুদ তরমুজ
চাষ শুরু করেন। এতিমধ্যে ১লাখ ৩০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রয় করেছেন। সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে আরো দেড় লাখ টাকার তরমুজ বিক্রয় করবেন বলে তিনি জানান। এই তরমুজ ক্ষেত থেকে সরাসরি ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে সবমিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার তরমুজ আছে তার জমিতে। আর পনের, বিশ দিনের মধ্যে বিক্রির উপযোগী হবে এই সব তরমুজ। তাই বর্তমানে গাছের পরিচর্যায় বস্ত সময় কাটছেন সেলিম হোসেন। বাজারে হলুদ জাতের তরমুজের প্রতি কেজির দাম প্রায় একশ টাকা। তিনি আরও জানান, তরমুজ চাষ শুরু থেকেই তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি। উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল হাসান বলেন-আমার গ্রামের ছেলে সেলিম হোসেন যে একজন পরিশ্রমি কৃষক তা আগে জানতাম না। তার হলুদ তরমুজ, টমেটো, ওল, ধান ও গরুর খামার করে সে এলাকার মানুষের তাক লগিয়ে দিয়েছে। সে কৃষিতে আরো এগিয়ে যাক এটাই কামনা করি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শুভ্রাংশু শেখর দাস জানান, এ অঞ্চলের মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। চাষি সেলিম হোসেন এলাকায় প্রথম তরমুজ আবাদ শুরু করেন। তাকে বীজ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ, সহযোগীতা দেয়া হয়েছে। এবার সেলিম হোসেন হলুদ তরমুজ চাষের পাশাপাশি ২৮কাটা জমিতে ওল চাষ, ১০বিঘা জমিতে টমেটো চাষ, সাড়ে ৬বিঘা জমিতে ধান ও বাড়ীতে একটি গরুর খামার করেছেন। তাকে সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান অর্থিক সহযোগিতা করলে আরো বড় করে হলুদ তরমুজ চাষ করতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।