খুলনা : নগরীর সরকারি পাইওনিয়ার মহিলা কলেজে অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী মনিরা আক্তার মুন্নী (২০)কে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ সময় সে জীবন বাঁচাতে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতে ছুরিকাঘাত করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৫ জানুুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন টেক্সটাইল মিলের মাঠে তার সেজ ভাসুরের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটানো হয়। তাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) সার্জারী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই দিন রাতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় সেজ ভাসুর মফিদুল মোল্লা (২৯), বড় ভাসুর মোঃ ফিরোজ মোল্লা (৩৫), মেজ ননদের ছেলে মামুন (২৪) ও মুসলিমা সুলতানা মুন (২৮)সহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জন উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। খুমেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মুন্নীর ডান হাতে ক্ষত স্থানে ৩০-৩২টি সেলাই দেওয়া লেগেছে। আহত মুন্নী নগরীর ছোট বয়রা রহমানিয়া আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মহিদুল ইসলামের কন্যা।
সোনাডাঙ্গা থানার এসআই মোঃ সোবহান মোল্লা বলেন, মুন্নীকে ছুরিকাঘাতের বিষয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই দিন রাতেই আসামিদের ধরার জন্য অভিযান গেলে তারা সবাই পালিয়ে যায়। বাদী মনিরা আক্তার মুন্নী খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি সুস্থ হলে অভিযোগটি মামলায় রূপান্তারিত করা হবে।
খুমেক হাসপাতালের সার্জারি ইউনিট-১ এ ভর্তি মনিরা আক্তার মুন্নী বলেন, ১৩ জানুয়ারি শ্বশুরবাড়ির পারিবারিক কলহের জের ধরে তার সেজো ভাসুর মফিদুল মোল্লা, বড় ভাসুর মোঃ ফিরোজ মোল্লা ও মেজ ননদের ছেলে মামুন তার মা তাসলিমা বেগমকে লাঠিসোটা দিয়ে মারপিট করে। এ সময় তার খালু সোহেল শেখ ঠেকাতে গেলে মফিদুল মোল্লা তাকে পিঠে কোপ দেয়। মুন্নী চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হয়। এরই জের ধরে গত ২৫ জানুয়ারি ১২টার দিকে কলেজছাত্রী মনিরা আক্তার মুন্নীর শ্বশুরবাড়ির সেজ ভাসুর মফিদুল ইসলাম ও মামুন তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্রে দিয়ে কোপ দিতে যায়। এ সময় মুন্নী বাঁচার উদ্দেশ্যে ডান হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে রক্তাক্ত জখম হয়।
আহত মুন্নী বলেন, তার বড় জা’এর সাথে অপর এক ছেলের রিলেশন ছিল। তাদের দুইজনের অন্তরঙ্গ ছবি কে বা কারা ফেসবুকে আপলোড করে দেয়। এতে তারা আমাকে সন্দেহ করছেন। কিন্তু এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ওপর ও আমার পরিবারের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, তার স্বামী জাহিদুল মোল্লা সিঙ্গাপুর প্রবাসী। তাকে এ বিষয়ে সব খুলে বলা হয়েছে। সে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থান নেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।