ঢাকা অফিস : কাউন্সিল নিয়েও দুই মত বিএনপিতে। একপক্ষের দাবি, সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটিয়ে দলকে আন্দোলন উপযোগী করতে অবিলম্বে বিএনপির কাউন্সিল করা দরকার। অন্যপক্ষ বলছে, খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে দলের পদ ভাগাভাগি করতে ইচ্ছুক নন তারা।
বিএনপির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিন বছর পরপর সম্মেলনের মাধ্যমে দলের নেতৃত্ব পরিবর্তনের বিধান রয়েছে। সে হিসেবে মার্চেই পেরিয়ে গেছে বর্তমান কমিটির মেয়াদ। এরই মধ্যে দলপুনর্গঠনে মাঠে নেমেছে বিএনপি। জেলা কমিটি ভেঙ্গে আহবায়ক কমিটি করার কাজও শুরু হয়েছে।
বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান কাউন্সিল প্রসঙ্গে জানান, ‘দিন ক্ষন, তারিখ এখনও ঠিক হয়নি। তৃণমূলের পুনর্গঠন শেষে অর্থাৎ জেলা পর্যায়ে পুনর্গঠন শেষে আমাদের জাতীয় কাউন্সিল হবে।’
অপর ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অবিলম্বে প্রয়োজন দলের একটি কাউন্সিল করা। বেগম জিয়ার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কাউন্সিল করা।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ দাবি আদায়ে কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে অবিলম্বে কাউন্সিলের মাধ্যমে নেতৃত্ব বদলানোর কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন নেতারা।
আন্দোলন প্রসঙ্গে ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর(বীর উত্তম) মত প্রকাশ করেন, ‘অবস্থান ধর্মঘট বা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন; এ গুলি সুখী পরিবারের রাজনৈতিক কর্মসূচী। একটা বিরোধী দলের কর্মসূচী এ গুলো নয়।’
দলটির আরেক ভাইস-চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন কাউন্সির প্রসঙ্গে বলেন, ‘নীতি নির্ধারনী ফোরাম আলোচনা করে ঠিক করবেন যে, কবে নাগাদ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করা যাবে। তবে এটির জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন, ইউনিট গুলিকে পুনর্গঠন করার কাজ শুরু হয়েছে।’
কাউন্সিলের প্রয়োজনীতা স্বীকার করলেও দলীয় প্রধানকে ছাড়া সেদিকে মনযোগী নয় বিএনপি। দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানান, ‘আমার নেত্রী জেলে বসে আছে, আমি কাউন্সিল করবো। পদ ভাগাভাগি করবো। এটা আমাকে মানষিক ভাবে কতটা শক্তি যোগায়? এটা ভাবতে হবে।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রতিটা অঙ্গসংগঠন; বিএনপিসহ সব জায়গায় এ ধারাই চলবে যে, গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত হবে প্রতিটি স্তরে। নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় স্তরসহ।
সবশেষ ২০১৬ সালের ১৯শে মার্চ অনুষ্ঠিত হয় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিল। এর পাঁচ মাস পর কয়েক দফায় ৫৯২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।