হাফিজুর রহমান শিমুল, কালিগঞ্জ : কালিগঞ্জে বর্তমান সময়ে আলোচীত “সরকারি সম্পত্তি দখল করে বহুতল ভবন” নির্মান কাজ বন্ধ করল প্রশাসন। বাঁশতলা বাজার এলাকার সচেতন মহলে ঈদ উল আযহার পুর্বে যেনো আরেকটি ঈদের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। যুবলীগের নেতৃবৃন্দের মিষ্টি বিতরন করতে দেখা গিয়েছে।
সুত্রে জানাগেছে, কালিগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশতলা বাজারের পেরীফেরী সম্পত্তি ঘেঁষে বিএস ১/১ খতিয়ানের ১৪১৭ দাগে ৯ শতক ও বিএস ১ নং খতিয়ানের ১৪১৭ দাগে ২ শতক, মোট ১১ শতক খাসসম্পত্তি জবরদখল করে বহুতল ভবন নির্মান কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন ফতেপুর গ্রামের মৃত ছামসুর মেম্বরের পুত্র কামাল ও ডাবলু। এ ঘটনায় বাদী হয়ে সরকারের সংশ্লীষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে ২০ জুন ২০২০ তারিখে আবেদন করেন ফতেপুর গ্রামের শাহিন সানা। এছাড়াও দঃ শ্রীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারী জাকির হোসেন দ্রুত নির্মান কাজ বন্ধের দাবীতে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। সর্বশেষ জাকির হোসেন ভুমি মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর আবেদন করেন ২৮ জুলাই ২০২০। সেই আবেদন আমলে নিয়ে ১৩ জুলাই খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের ০৫.৪৪.০০০০.০০২.০৭.০১১.১৭.১৭৫ নং স্মারকে কালিগঞ্জ সহকারী কমিশনার( ভুমি) কে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। তিনি দায়িত্ব দেন ইউনিয়ন তহশীলদার নন্দলাল বাবুকে। এরপর থেকে ডাবলু গংয়ের অন্যায় আবদারে তুষ্ট হয়ে বহুতল ভবন নির্মানের অলিখিত আদেশ দেন তহশীলদার নন্দ বাবু। সকল অঘটন তিনিই ঘটিয়ে প্রশাসনকে বিতর্কিত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এঘটনা নিয়ে পত্র পত্রিকায় ব্যাপক সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। একপর্যায়ে কাজ বন্ধ করে দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি মাপ জরিপের ব্যবস্থা করেন নায়েব বাবু তবে অভিযোগকারীদের না জানিয়ে অতি গোপনে। নির্মানাধীন ভাবন বাঁচানোর লক্ষেই মাপ জরিপ চললেও ৫ শতাংশ জমি বেড় পড়ে যায় বিতর্কিত ভবনের। বলা হয় বাকী ৬ শতক জমি সড়কে চরে গেছে। প্রতিবাদ করে স্থানীয় বাজার কমিটির লোকজন। শুরু হয় ৩০ জুলাই আবারও মাপ জরিপ। এবার ঐ সম্পত্তি থেকে বেরিয়ে আসলো ১১ শতক খাস সম্পত্তি। লাগানো হলো সাদা ফ্লাগ। ঘটনার সতত্য জানতে তহশীলদার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন লেনদেন কিংবা অন্যকিছু এসব মিথ্যা। তারা আগেও একতলা মার্কেট করেছে। তার উপরে আরেকতলা কাজ চলছিল। আদেশ পেয়ে আমি কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। স্থানীয় চেয়ারম্যান প্রশান্ত সরকার জানান, পেরীফেরী কিংবা সড়ক ও জনপথের ধারেই খাসসম্পত্তি চিহৃিত করে থাকেন তহশীলদারগন। সেমতে নির্মানাধীন যায়গা বেড় পড়ে যায় খাস জমি। কেননা ঐ মালিকের অপর অংশের পেরীফেরীর পাশের জমি খন্ডে খন্ডে বিক্রি করেছেন। সঠিক মাপ জরিপ করলে এ মুল্যবান সম্পত্তি সরকারি অনুকুলে আসবে। বিষ্ণুপুর চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজউদ্দীন বলেন এখানে সরকারী জমি উদ্ধারে তালবাহানা কেনো আমি বুঝি না। কাগজপত্র মোতাবেক পুরা সম্পত্তিই বিতর্কিত রয়েছে। সেটাই খোঁজ নিতে হবে। অভিযোগকারী জাকির বলেন আবেদনের পরে কাজ বন্ধ আছে। আমি চাই কাজ শুধু বন্ধ করলে হবেনা। প্রয়োজনে নির্মানাধীন ভবন খাসে এনে বাঁশতলা জামে মসজিদের নামে দেওয়া হোক।