ইউনিক প্রতিবেদক:
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপি জামাত জোট সরকারের শাসনামলে রাষ্ট্রীয় মদদে সন্ত্রাস পরিচালিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চল মৃত্যু পুরীতে পরিণত হয়েছিলো। সারা দেশে বেছে বেছে আওয়ামী লীগ এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের মেধাবী নেতাদের হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসার পরে একে একে সকল হত্যার বিচার হচ্ছে। দেশে এখন আইনের শাসন চলছে। তিনি বলেন, কুটু একজন দক্ষ সংগঠক ছিলেন। ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ একসময় অত্যন্ত দুর্বল ছিলো। তিনি ওয়ার্ডের দায়িত্ব নেওয়ার পর সেখানে সংগঠনটি সুসংগঠিত হতে থাকে। তিনি আরও বলেন, কামরুল ইসলাম কুটু ছিলেন মুজিব আদর্শের দক্ষ ত্যাগী নেতা। কুটু‘র মতো সকলকে দক্ষতা অর্জন করে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। সেজন্যেই আজ কুটুর মত সকলকে ত্যাগ স্বীকার করে দলকে সুসংগঠিত করে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম কুটু’র শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। সভা পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. মফিদুল ইসলাম টুটল। এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা শ্যামল সিংহ রায়, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর ফকির সাইফুল ইসলাম, মো. মোতালেব হোসেন, সফিকুর রহমান পলাশ, রনজিৎ কুমার ঘোষ, ইঞ্জিঃ আব্দুল জব্বার, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, ইব্রাহীম খলিল ইমন, আব্দুল হাই পলাশ, অহিদুল ইসলাম পলাশ, একে গোলাম হায়দার বুলবুল, কামরুল ইসলাম, অভিজিৎ চক্রবর্তী দেবু, নুর জাহান রুমি, নূরানী রহমান বিউটি, রেহেনা গাজী, এম এ হাসিব, জিএম রেজাউল ইসলাম, হাফেজ আব্দুর রহিম, শেখ হারুন মানু, মো. শহীদুল হাসান, মো. আশরাফ আলী হাওলাদার শিপন, হাসনাইন ইদ্রিস বিন চঞ্চল, জহির আব্বাস, মাহমুদুর রহমান রাজেস, রুম্মান আহমেদসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণ সভা শেষে কামরুল ইসলাম কুটু’র আত্মার মাগফেরাত এবং বোমা হামলায় আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম।
এছাড়া সকাল ৯টায় দলীয় কার্যালয়ে অকুস্থলে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। এসময়ে খুলনা মহানগর, সদর থানা আওয়ামী লীগ, ২৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও কাউন্সিলর এবং মহানগর ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে কামরুল ইসলাম কুটু’র মেয়ে এশা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৮টায় ২৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ কামরুল ইসলাম কুটু’র শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র্যালী করে দলীয় কার্যালয়ে আসে।