সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : ওয়ারেশসূত্রে মালিক আমরা দুই ভাই ২০১৭ সালে ১২১ সিএস খতিয়ানে শ্যামনগরের কুপোট মৌজার ১৪১১ দাগের এক একর সাড়ে ৪৯ শতক জমি সাতক্ষীরার সুলতানপুরের খোকন ওরফে বাবলু গাজির নামে উপযুক্ত মূল্যে রেজিষ্ট্রি কোবালা দলিলমূলে বিক্রি করে দেই। সে সময় এ জমি নিয়ে কোনো মোকদ্দমা ছিল না। অথচ এখন আমাদের দুই ভাইয়ের সম্পদ আত্মসাত করার জন্য আমাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিন বড় কুপোট গ্রামের বঙ্কিম চন্দ্র বৈদ্য, নিশিত কুমার, বাপ্পা কুমার, তাপস কুমার, ঠাকুর চন্দ্র ও আকরাম হোসেন মালি মিথ্যা তথ্য দিয়ে নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছেন।
আজ শুক্রবার সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন, তালা উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের দেবদাস মন্ডলের ছেলে বিনায়ক মন্ডল । তিনি বলেন, তাদের পিতৃ ও মাতৃকুল বিয়োগের পর তিনি ও তার ভাই দ্বৈপায়ন মন্ডল বাগডাঙ্গা সৎসঙ্গ বিহারে পালিত হন। কুপোট না থাকার কারণে প্রতিপক্ষ ওই জমির হাল রেকর্ড তাদের নামে করে নেন। অথচ কোবালা দলিল ও এসএ রেকর্ড ছিল তাদের বাবা দেবদাস মন্ডলের নামে। এ ঘটনাকে প্রতারণা বলে দাবি করেন বিনায়ক মন্ডল।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সঠিক কাগজপত্র ও ওয়ারেশ কায়েম সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে ন্যায্য মূল্যে ওই জমি বিক্রির পরও প্রতিপক্ষ বঙ্কিম চন্দ্র সাতক্ষীরার এডিম কোর্টে ১৪৫ ধারা, র্যাব বরাবর দরখাস্ত, এসি ল্যান্ড বরাবর দরখাস্ত, ভূমি অফিস, ইউএনও অফিস, চেয়ারম্যান, থানা, এসপি অফিস, দুদক, সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রার বরাবর বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ দিয়ে আমাদের হয়রানি করছেন। তাছাড়া মাছের ঘেরে প্রবেশ করে লুটপাট করে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন। আমাদের জমির ক্রেতাসহ আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং এলাকায় যেতে পারছি না। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জমির ক্রেতা বাবলু গাজি ওরফে খোকন এসবের বিরুদ্ধে ১৪৫ ধারায় মামলা করেছেন । আমি ও আমার ভাই বঙ্কিম চন্দ্র দিংয়ের বিরুদ্ধে দেওয়ানি আদালতে ১১/১৯ নম্বর মামলা করেছি। বিনায়ক এ ঘটনার প্রতিকার দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাবলু গাজি ওরফে খোকন।