কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ে গত ৪ ডিসেম্বর বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আনিচুর রহমান (৩৫), সবুজ হোসেন (২০) ও হৃদয় আহমেদ (২০)। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ততা থাকা তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের সাথে অন্য যারা জড়িত রয়েছে, তাদেরও খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে এবং আদালতে সোপর্দ করা হবে।
পুলিশ সুপার তানভীর আরাফাত বলেন, তদন্তে আমার যেটা এখন পর্যন্ত জেনেছি সেটি কলেজের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে ঘটেছে। কয়া মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিজামুল হক চুনু এবং অধ্যক্ষ হারুনর রশিদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব বিরাজমান। এখন পর্যন্ত আমরা জানতে পেরেছি এই কারণে হয়তো ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হতে পারে। এ ঘটনার চাক্ষুস প্রমাণ রয়েছে। কলেজের দারোয়ান ঘটনাটি স্ব-চোখে দেখেছে। তারা বেশ কিছুক্ষণ ধরে সেখানে অবস্থান নিচ্ছিল। রাত ১১টা থেকে পৌঁনে ১টার দিকে হাতুড়ি দিয়ে তিনটি স্থানে তিনটি আঘাত করে। পরে তারা মোটরসাইকেলে স্থান ত্যাগ করে। এদিকে, শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কয়া মহাবিদ্যালয়ে বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় কুষ্টিয়া শহরের থানা মোড়ে জেলা জাসদের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করে জেলা জাসদের নেতারা। এরআগে, শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা একইভাবে হাতুড়ি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে। পরে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। পরদিন শনিবার (০৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার দুই ছাত্র ও তাদের সহযোগী দুই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।