এসএম জামাল, কুষ্টিয়াঃ ‘ফিরে চল মাটির টানে’ স্লোগানকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় ১০ রাতব্যাপী যাত্রা উৎসব চলছে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমী প্রাঙ্গনে।
জেলা শিল্পকলা একাডেমি এ উৎসবের আয়োজন করে। সোমবার রাতে ভৈরবনাথ গঙ্গোপাধ্যয় রচিত দিশা সাংস্কৃতিক গোষ্ঠির সহযোগীতায় তকরিম উদ্দিন খানের নাট্য পরিচালনায় যাত্রাপালা নাচমহল পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে দিশা সাংস্কৃতিক নাট্যগোষ্ঠির প্রধান সমন্বয়ক দিশা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলামকে ক্রেস্ট,সনদপত্র তুলে দেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, অশ্লীল নৃত্য আর অসাধু ব্যবসায়িক চিন্তার প্রতিফলনে সভ্য সমাজের রুচিশীল মানুষকে যাত্রামুখী করতে এবং অপসংসস্কৃতির করালগ্রাসে বিলুপ্তপ্রায় যাত্রাশিল্পকে ধ্বংসের পথ থেকে বাঁচাতেই এমন উদ্যোগ।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই জানেনা যাত্রাপালা কি? এই শিল্পকে নতুনভাবে তুলে ধরতেই হারানো দিনের সেই যাত্রাপালা উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। গীতাঞ্জলী অপেরা সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। আজকের যাত্রাপালা নাচমহল ও বেশ আলোচিত। দিশা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, গ্রাম বাংলার মানুষের বিনোদনের মুলেই ছিলো যাত্রাপালা। গ্রাম বাংলার বাস্তব চিত্র নিয়ে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হতো। সুস্থ্য বিনোদন ধারা ছিলো সেটিকে ফিরিয়ে আনা উচিৎ বলে মনে করেন। তিনি বলেন, একময় আমরা পায়ে হেটে অনেক দুরে যাত্রাপালা দেখতে যেতাম। যাত্রা বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন আর সেই যাত্রাপালা আর দেখা যায় না। যাত্রার এই সমৃদ্ধিকে ধরে রাখার জন্য এই আয়োজন অব্যহত রাখা প্রয়োজন।
বিলুপ্তপ্রায় যাত্রাশিল্পীদের এ ধারা অব্যহত রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
তকরিম উদ্দিন খানের নাট্য পরিচালনায় যাত্রাপালা নাচমমহল যাত্রাপালায় অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেন একসময়ের সসাড়া জাগানো আলোচিত নাট্যশিল্পী তকরিম উদ্দিন খান, নজরুল,উফান আলী, জহুরুল হক, মামুন মহসিন, হেলাল,রাশেদ,জোসনা,তপতি, লক্ষিরানী, বাসন্তীসসহ অন্যরা।