এস এম জামাল, কুষ্টিয়া : বনবিভাগের সহায়তায় কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) উপ-বিভাগ কুষ্টিয়ার উপবিভাগীয় প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে কোটি টাকার গাছ কেটে নেওয়ার পাঁয়তারার অভিযোগ উঠেছে।
৩৫ বছর পর পুর্বের উপকার ভোগীর তালিকা বাদ দিয়ে এমনকি তাদের কোন লিখিত বা মৌখিকভাবেও না জানিয়ে বনবিভাগের যোগসাজেশে কোটি টাকার গাছ টেন্ডার করার অভিযোগ উঠেছে। এতে এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সরকার দারিদ্র বিমোচনের লক্ষে সামাজিক বনায়নের উদ্যোগ নেয়ায় ১৯৮২-৮৩ সালে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস থেকে লাহিনী পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে বনায়ন করার উদ্যোগে নেয়।
মোল্লাতেঘরিয়া গ্রামের রুহুল আমিন, আবুল কাশেম, আল আমিন ইসলাম, আবুল হোসেন, মামুনার রশীদ, আহম্মদ আলী, কিয়ামুদ্দিন, হোসেন আলী, শহিদুল ইসলাম, মাসুদুর রহমান, মকছেদ ফকির, জামিদুল ইসরাম, আব্দুল করিম, রওশন আলী ঢালী ও কামাল উদ্দিন উপকারভোগী পরিষদ এর মাধ্যমে বৃক্ষরোপন করে। এবং স্বেচ্ছাশ্রমে তা রক্ষনাবেক্ষন করে আসছিলো।
উপকারভোগী পরিষদ এর সভাপতি রুহুল আমিন জানান, ১৯৮২-৮৩ সালে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস থেকে লাহিনী পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের ১৫জন সদস্য মিলে টাকা ও সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সড়কের দুই পাশে প্রায় কয়েখ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগায়। ওই সময় বনবিভাগের পক্ষ থেকে গাছের চারা সরবরাহ করলেও স্থানীয়রা বনায়ন ও পরিচর্যা করেছিল।
উপকারভোগী পরিষদের ১৫ জন সদস্য মিলে বনায়ন কর্মসূচী চালু করে। শুধু তাই নয়, গাছ রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বিভিন্ন মেয়াদের প্রশিক্ষন গ্রহনের মাধ্যমে বনবিভাগের মাধ্যমে ফরমপুরণ করে তারা এ কার্যক্রম চালায়। এযাবত পর্যন্ত বনবিভাগের সাথে সেই পরিষদ যোগাযোগ রেখে চলেছে।
এরমধ্যে বনবিভাগ গত ২৭/২/২০১৮ তারিখের স্মারক ২২.০১.৫০০০.৩৪৮.১৩.০০০.১৮.৩৫ কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) উপ-বিভাগ কুষ্টিয়ার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুল্লাহকে চিঠি প্রদান করে। এরই ফলে সওজ বাগান উপকারভোগী পরিষদের সদস্যদের সাথে কোন আলাপ আলোচনা ছাড়াই গাছ বিক্রয়ের নিলাম দরপত্র প্রকাশ করে।
বনবিভাগের জগতি রেঞ্জ অফিসের কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান সড়কের ওই বাগানের উপকার ভোগীদের তালিকার অনিয়মের বিষয় উর্দ্ধতন কর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তবে তিনি আরও জানান, বনবিভাগ ও উপকারভোগী পরিষদকে ব্যতিরেকেই সওজ কতৃপক্ষ গাছগুলো কেটে নিতে বিভিন্ন পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) উপ-বিভাগ কুষ্টিয়ার উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আতিকুল্লাহর সাথে যোগাযোগের জন্য তার অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে কল দিলেও তা রিসিভ করেননি।