কুয়েটে তিন দিনব্যাপী ‘আইসিসিইএসডি ২০২২’ আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন

প্রকাশঃ ২০২২-০২-১০ - ২৩:৫৮

ইউনিক প্রতিবেদক :

 

 

“উচ্চতর প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে কুয়েট

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে”

                                                 -শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি

 

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে “আইসিসিইএসডি ২০২২” শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন উদ্বোধন করা হয়।

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথি হিসেবে (অনলাইনে যুক্ত থেকে) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার করেছে তা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল জ্ঞানের বিকাশ ছাড়া অসম্ভব। প্রকৌশল শিক্ষার বিকাশ, মাননিয়ন্ত্রন, উচ্চতর প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে কুয়েট দেশ ও দেশের বাইরে স্বনামধন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম হিসেবে নিজের স্থান করে নিয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক ব্যবহার ঘটিয়ে কুয়েট একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজ গর্ব অক্ষুন্ন রেখে সমৃদ্ধ জাতি গঠনে বৈপ্লবিক ভূমিকা পালন করবে বলে আমি আশা করি।”

১০ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ৬ষ্ঠ “ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিইএসডি ২০২২)” শীর্ষক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন (অনলাইনে যুক্ত থেকে) শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর ড. এম ফিরোজ আহমেদ। কনফারেন্সে স্বাগত বক্তৃতা করেন কনফারেন্স চেয়ার প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শাহজাহান আলী এবং উপস্থিত ছিলেন কনফারেন্সের অর্গানাইজিং সেক্রেটারী প্রফেসর ড. কাজী এবিএম মহিউদ্দিন।

সম্মেলনে অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় বলেন, “টেকসই উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। এজন্য সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যকে এগিয়ে নিতে ‘আইসিসিইএসডি’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

অতিথিবৃন্দরা আরো বলেন, “কনফারেন্সের মাধ্যমে উঠে আসা প্রযুক্তি ও বিষয়সমূহ কাজে লাগানো গেলে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্ব উপকৃত হবে, তাই এ ধরনের কনফারেন্সের অপরিসীম গুরুত্ব রয়েছে।”

সম্মেলনে মোট ০৫ টি কী-নোট সেশন এবং ৩২ টি টেকনিক্যাল সেশনে দেশ-বিদেশের গবেষকদের মোট ২৫১ টি টেকনিক্যাল পেপার উপস্থাপিত হবে এবং সেরা ১০ টি পেপারকে পুরস্কৃত করা হবে। সম্মেলনে প্রায় ৩০০ প্রতিথযশা গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদগণসহ অন্যান্যরা অংশগ্রহন করছেন। এর আগে কুয়েটে ২০১২ সালে প্রথম, ২০১৪ সালে দ্বিতীয়, ২০১৬ সালে তৃতীয়, ২০১৮ সালে চতুর্থ এবং ২০২০ সালে পঞ্চম ‘আইসিসিইএসডি’ অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কী-নোট সেশনে স্পীকার ছিলেন (অনলাইনে যুক্ত থেকে) গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রোজেক্ট (বিআরটি লাইন-৩) এর প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট এ্যাডভাইজার ড. মোঃ মাহাবুবুল বারী এবং অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি সিডনী এর ট্রান্সপোর্ট রিসার্চ সেন্টার স্কুল অব সিভিল এন্ড ইনভাইরনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর প্রখ্যাত প্রফেসর বুদ্ধিমা ইনদ্রারাতনা।