বিজ্ঞপ্তি : খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, “লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য লেখাপড়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, খেলাধুলাও তেমনী প্রয়োজনীয়। সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়ম মেনে খেলাধুলা করতে হবে”। সভাপতির বক্তৃতায় কুয়েট ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, “খেলাধুলা নিয়মানুবর্তিতা শিক্ষা দেয়, শিক্ষা দেয় সহনশীলতার। শিক্ষার্থীদের মানষিক বিকাশের জন্য ক্রীড়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ”।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া এবং মাঠাধ্যক্ষ ছিলেন প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মতিন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট ও সহকারী প্রভোস্টগণ, কর্মকর্তা, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মচারীবৃন্দসহ স্থানীয় রাজনীতিবিদ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অতিথিবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের আকর্ষনীয় ক্রীড়াশৈলী উপভোগ করেন এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। ৩৮টি ইভেন্টে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ব্যক্তিগত ইভেন্টে ছাত্রদের মধ্যে শিহাব উল মুলক এবং ছাত্রীদের মধ্যে তানজিলা পারভীন এমি চ্যাম্পিয়ন হয়। এছাড়া ফজলুল হক হল চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এবং লালন শাহ হল রানার-আপ ট্রফি লাভ করে।
উল্লেখ্য, সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে প্রধান অতিথি বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া এবং সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল মতিন। এর আগে গত ১ মার্চ থেকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্ট শুরু হয়। ক্রীড়া প্রতিযেগিতার ইভেন্টগুলোর মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরণের দৌড়, উচ্চ লাফ, লাফ ধাপ ঝাপ, দীর্ঘ লাফ, চাকতি নিক্ষেপ, গোলক নিক্ষেপ, বর্ষা নিক্ষেপ, ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ, রিলে রেস, ভাগ্য দৌড়, ধীরে সাইকেল চালনা, ভারসাম্য দৌড়, অন্ধের হাড়ি ভাঙ্গা, যেমন খুশি তেমন সাজো, দড়ি টানা-টানি ইত্যাদি।
