কেশবপুরে নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুরের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশঃ ২০২৪-০৫-২৫ - ১৩:২২
রাজীব চৌধুরী, কেশবপুরঃ কেশবপুরের নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুর রহমানে বিরুদ্ধে জাল দলিলে ঘের দখলের চেষ্টা ও হত্যা গুমের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে কেশবপুর শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে জমির মালিকদের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আমের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মনববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জমির মালিক আবুল কালাম আজাদ, আব্দুর রশিদ, মতিউর রহমান প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন শতশত কৃষক।ঘেরের জমির লীজ গ্রহীতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (৩৭) বলেন আমি মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে অসহায় অবস্থায় অভিযোগ তুলে ধরে বেঁচে থাকার আশায় আপনাদের নিকট সহযোগিতা কামনা করছি। আপনারা অনেকেই জানেন, কেশবপুর উপজেলার নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও ঘের দখলদার সেলিমুজ্জামান আসাদ আমার লিজ নেয়া বিল বলধালির প্রায় ৪৫০ বিঘা জমির মৎস ঘেরটি জোর করে দখলে নেয়ার অপচেষ্টা করে আসছে। কেশপুরের মূলগ্রাম হাবাসপোল ও মধ্যকূল গ্রামের ২১৪ জন কৃষক তাদের জমি ডিডের মাধ্যমে মৎস্য চাষ করার জন্য লিজ দিলে আমি বৈধ প্রক্রিয়ায় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে মৎস চাষ করে আসছি। ইতিমধ্যে পোনা মাছ ছেড়ে ও স্কেভটর দিয়ে ঘেরের পাড় বাধার কাজ শুরু করেছি। পূর্বের ঘের মালিক মফিজুর রহমান মফিজের মেয়াদ শেষ হলেও তিনি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে পুনরায় আমার ঘের দখলে নেয়ার কু-মতলব আটেন। ইতিমধ্যে তিনি পুরানো ডিডের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে নতুন করে ডিড তৈরি করে আমাকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছেন। কিন্তু আমি ঘের ছাড়তে রাজি না হওয়ার কারণে উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজ ও আসাদ এখন অবৈধভাবে থানা পুলিশকে ব্যবহার করছেন। কেশবপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুল ও আবুল হোসেন গত ০১/০৫/২০২৪ তারিখে সম্পূর্ণ বে-আইনীভাবে আমাকে নিজ বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে যান এবং থানায় নিয়ে মফিজ ও আসাদের সামনে আমাকে ঘের ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকি দেন। এমন কি ঘেরের ব্যবসা বাদ দিয়ে কেশবপুর ছেড়ে চলে না গেলে মফিজ ও আসাদ আমাকে খুন করে ফেলবেন বলে হুমকি প্রদান করেন। থানার মধ্যেই পুলিশ কর্মকর্তারা আমাকে ক্রসফায়ারে দিয়ে লাশ গুম করারও হুমকি দিতে থাকেন।
আমি এ বিষয়ে কেশবপুর থানার সহযোগিতা চেয়ে না পেয়ে যশোরের বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কেশবপুর আমলী আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। এই মামলা করে এখন আমি আরো বিপদে। ঐ মামলাটি তুলে না নিলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাকে সরাসরি হত্যার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু আমি মরতে চাই না, বাঁচতে চাই। আমি পরিবার পরিজন নিয়ে শান্তিতে কেশবপুরে বসবাস করতে চাই। ডিড করেও আমি সুষ্ঠুভাবে ঘেরে মৎস্য চাষ করতে পারছি না। এজন্য আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনারা আমাকে এই অত্যাচারী জালেমদের কবল থেকে বাঁচান। দয়া করে আপনারা আমার পাশে দাঁড়ান, আমাকে বাঁচান।