এস আর সাঈদ, কেশবপুর (যশোর) : যশোরের কেশবপুরে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা দখল করে পাঁকা ভবন নির্মাণ কাজ চালানোর অভিযোগ পাওয়াগেছে। প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে।
সরেজমিন জানাগেছে, কেশবপুর উপজেলার টিটাবাজিতপুর এম.কে.বি. মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়টি ১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে টিটাবাজিতপুর এম.কে.বি. মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। ভান্ডারখোলা মেইন সড়ক হতে প্রতিষ্ঠান দুটিতে যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তা রয়েছে। যে রাস্তা দিয়ে ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির ছাত্রী, শিক্ষক ও কর্মচারীরা যাতায়াত করেন। তাছাড়া এলাকাবাসি তাদের জমিতে ফসল উৎপাদনের জন্য রাস্তাটি ব্যাবহার করে থাকেন। কাঁচা রাস্তাটি যাতায়াতের অসুবিধা হওয়ায় ইতিপূর্বে বিদ্যানন্দকাটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি ইট দ্বারা পাঁকাকরণ করা হয়। এদিকে শুক্রবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সূযোগে ভান্ডারখোলা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক সরদারের ছেলে জাহিদ হাসান রাস্তাটি দখল করে পাঁকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। এসময় জাহিদ হাসান রাস্তাটিতে সরকারী ভাবে প্রদত্ত ইটও তুলে ফেলেন।
শনিবার সকালে বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটিতে খুড়ে রাখা গর্তের মধ্যে সাইকেল চালিয়ে আসা ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী শান্তা পড়ে যায়। তাৎক্ষণিকভাবে ছাত্রীরা বিদ্যালয়ের রাস্তা দখল করে পাঁকা ভবন নির্মাণ কাজ চলানোর প্রতিবাদে মানববন্ধর করে। মানববন্ধনে অবিলম্বে বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা দখলবাজের হাত থেকে দখল মুক্ত করার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে বক্তব্য রাখেন ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী মরিয়ম, শান্তা, ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী রূপা, মাহাবুবা, ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী সুরাইয়া প্রমুখ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক আজিবর, জাকির হোসেন, উদয় শংকর দাস, আঃ গফুর, সুক্লা রায় ও ফিরোজা খাতুন অবিলম্বে বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটি দখলমুক্ত করে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এব্যাপরে ভবননির্মাণকারী জাহিদ হাসান জানান, রাস্তাটি বহু পুরাতন হলেও জমিটি আমার। আমার প্রয়োজনে আমি ভবন নির্মাণ করছি।