খুলনা : খুলনার ব্যস্ততম এলাকা বলে পরিচিত রেললাইন সংলগ্ন স্টেশন রোডের মসজিদের কোবা’র সামনে রাতের আঁধারে মো. মহসিন আলী খন্দকার নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্থাপনা (ঘর) নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার ওই স্থাপনায় মের্সাস এন ইউ আহমেদ নামে সাধারণ ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারী নামে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করার প্রতিবাদে বুধবার খুলনা বড়বাজারের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করে অবিলম্বে স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার দাবি জানায়। এসময়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বলেন, প্রভাবশালী এক ভূমিদস্যু নামে বেনামে একের পর এক রেলওয়ের জমি দখল করে যাচ্ছে। তারা এই ভূমি দস্যুর শাস্তি দাবি করেন।
স্থানীয়রা বলেছেন, রেলভূমি ও সিটি করপোরেশনের সরকারি রাস্তা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন। বাজারের ব্যবসায়ীরা ট্রাক, কার্ভাট ভ্যান ও ভ্যানে মালামাল উঠানামায় বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।
স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও বাসিন্দারা জানান, খুলনা রেললাইনের পূর্বপাশে ও বড়বাজারের দক্ষিণ পাশে ভৈরব রোড স্ট্যান্ডের বাসিন্দা মো. মহসীন আলী খন্দকার সোমবার দিবাগত রাতে সিটি করপোরেশনের সরকারি রাস্তা দখল করে একটি টিনসেডের ঘর নির্মাণ করেন। ফলে খুলনার পাইকারী কেনাবেচার বড় আড়ৎখ্যাত বড় বাজারের ব্যবসায়ীরাদের মালামাল উঠানামা ও যাতায়াত বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা সিটি করপোরেশনের ২১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. শামছুজ্জামান মিয়া স্বপনের কাছে অভিযোগ করেন।
সরেজমিন গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, কতিপয় ভূমিদস্যু একের পর এক রেলওয়ের জায়গা দখল নিচ্ছে। রাতরাতি তারা সেখানে স্থাপনা নির্মাণ করছে। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। অথচ তাদের দেখার কেউ নেই।
অভিযোগ প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মো. শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন বলেন, ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের কাছে অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মূলত ওই জায়গাটি রেলের। তারা রাস্তার জন্য খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে। খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিটি করপোরেশনকে দিয়েছে। নির্মিত ঘরের আড়াই থেকে তিন ফুট সেই স্থানে রয়েছে। আমি দ্রুত ওই অংশ অপসারণের কথা বলেছি। যিনি স্থাপনা তুলেছেন, তিনি রেলওয়ের কাছ থেকে ১৩৫ বর্গফুটের লাইসেন্স নিয়ে স্থাপনা তৈরী করেছেন বলে দাবি করেছেন। আমরা বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে মো. মহসিন আলী খন্দকার বলেন, রেলওয়ের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে ঘর নির্মাণ করেছি। আমার কাছে সব ডকুমেন্ট রয়েছে।
খুলনা জেলা হ্যান্ডলিং শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি নাসির খান বলেন, আসলে জমি লীজ দিয়েছে কিনা তা জানতে আমরা রেলওয়ের কানুনগোর কাছে যাবো। এরপর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।