কেসিসি উচ্ছেদ অভিযান টিম  চলে গেলে পুনরায় একই চিত্র

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-২৩ - ১১:০৫

কামরুল হোসেন মনি, খুলনা : খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)’র উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। সোমবার (২২ জানুয়ারি) নগরীর গুরুত্বপুর্ণ সড়ক ও ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত রাখতে এই অভিযান। কিন্তু অভিযানের টিমটি চলে যাওয়ার মাত্র পুনরায় একই চিত্র চোখে পড়ে। যার কারণে অভিযানটি কার্যত কোন কাজে আসছে না। সোমবারে অভিযানে ফুটপাত দখল রেখে প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবসা করার অপরাধে একজনকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ ব্যাপারে কেসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল হালিম সোমবার সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদককে সার্বিক বিষয়ে বলেন, নগরীতে গুরুত্বপুর্ণ সড়ক ও ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত রাখতে এই মাসে অভিযান অব্যাহত থাকবে। সোমবার নগরীর কয়েকটি স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, ফুটপাতদখলকারী ব্যবসায়ীদের সর্তক করা হচ্ছে পুনরায় দখল না রাখার জন্য। যদি কোন ব্যক্তিকে একই অপরাধ পুনরায় করে থাকেন ততে তাকে দ্বিগুন জরিমানা করার বিধান রয়েছে। আজ (মঙ্গলবার) খুলনা মহানগরীতে ফুটপাত দখলমুক্ত ও রাস্তায় নিমার্ন সামগ্রী  ইট-বালি ও খোয়া রেখে যারা ব্যবসা বা কাজ করছেন তাদের দখলমুক্ত রাখার জন্য মাইকিং করে সর্তকবার্তা দেয়া হবে। পাশাপাশি তাদের এ উচ্ছেদ অভিযানও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান। সোমবার ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা পরিচালনা দায়ের এক ব্যক্তিকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সোমবার (২২ জানুয়ারি) নগরীর শিববাড়ি মোড়ে কেসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি ফুটপথ দখলমুক্ত করার জন্য অভিযানটি পরিচালনা করেন। তখন দুপুর ১টা বেজে ১০ মিনিট হবে। এ সময় ওই স্থানে ফুটপাতের ওপর চায়ের দোকানীরা তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে সর্তক করে যান। এই টিমটি কেডিএ অ্যাভিনিউ এর সামনে জনগনের চলাচল পথে প্লাষ্টিক বস্তায় ব্যবসার করার অপরাধে মোঃ আঃ কাইয়ুম নামে এক ব্যক্তিকে ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ওই দিন বিকেল ৪টার দিকে গেলে পুনরায় সেই দখলের চিত্র চোখে পড়ে।
সূত্র মতে, কেসিসি’র উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলেই ওখান থেকে আগে থেকে জানিয়ে দেয়া হয় কোন কোন এলাকায় বা কোন কোন রোডে কেসিসি’র টিম উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবেন। এই ম্যাসেজ পাওয়ার পর বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন সড়ক ও ফুটপাতগুলো দখলে থাকা অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। ফলে কেসিসি’র উচ্ছেদ অভিযানে গেলে ওই সময়ই আর দখলদের পাওয়া যায় না। অনেক সময় পাওয়া গেলেও ওই সময় তরিগড়ি করে উঠে যান। আবার উচ্ছেদ অভিযান টিমটি চলে গেলে পুনরায় দখলের একই চিত্র দেখা যায়। ফলে কেসিসি’র এই উচ্ছেদের সফল বেস্তে যায়। এক পাশে রাস্তা দখল করে দাড়িয়ে থাকে ইজিবাইক অন্যদিকে ফুটপাত দখলে থাকে অস্থায়ী বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা।
দেখা গেছে,  বিআরডিসি রোডের দু’পাশ, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ফেরিঘাট মোড়, ক্লে রোড, সিমেট্রি রোড, খানজাহান আলী রোড, শেরে বাংলা রোড, স্টেশন রোড, জব্বার সরণি, জিয়া হলের আশপাশ, মজিদ সরণি, জলিল সরণি, কদমতলা মোড়, কেডি ঘোষ রোড, খুলনা প্রেসক্লাব সংলগ্ন স্যার ইকবাল রোডসহ নগরীর অধিকাংশ সড়কগুলোর ফুটপাথ দখল করে চায়ের দোকান, অস্থায়ী কাপড়ের দোকান, কাঠ, দালান নির্মাণ সামগ্রীসহ নানা জিনিসপত্র রেখে ব্যবসা পরিচালনা করা হচ্ছে। ডাকবাংলা থেকে ফেরিঘাট পর্যন্ত অর্থাৎ সোনালী ব্যাংক সংলগ্ন সড়কের পাশে অস্থায়ীভাবে সারি সারি অসংখ্য কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করায় ওই এলাকায় আসা সকল গাড়ি পার্কিং মূল সড়কের মধ্যে চলে আসছে। দখলদাররা বহাল তবিয়তে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছেন।