ইমতেয়াজ উদ্দিন, কয়রা(খুলনা) : কয়রায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের খেওনা গ্রামবাসী। গত ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য মোঃ জালাল মোড়ল বলেন,একই গ্রামের আবু বকর সানার স্ত্রী জয়নুর বেগম মিথ্যা অভিযোগে বিভিন্ন ভাবে এলাকাবাসীর হয়রানী করে আসছে। কেউ তার প্রতিবাদ করলে তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার পাশাপাশি মিথ্যা মামলার ভয় দেখিয়ে অর্থ বানিজ্য করে থাকে সে। এ ধরনের অনেক প্রমান রয়েছে গ্রামবাসীর নিকট।
তিনি আরও বলেন সম্প্রতি মিথ্যা তথ্য প্রদান করে সংবাদ সম্মেলন করে যে সকল অভিযোগ করেছে তাতে আমরা গ্রামবাসী হতবাক হয়েছি। জয়নুর বেগম কাল্পনিক,বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য প্রদান করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যা বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই। প্রকৃত ঘটনা হলো যে,খেওনা এলাকায় সরকারি ১ টি জলাশয় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে রাজস্ব দিয়ে ইজারা গ্রহন করেন স্থানীয় জয়রাম খালী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ। উক্ত খালটি দির্ঘদিন যাবৎ সরকারি রাজস্ব না দিয়ে ভোগদখল করে মাছ চাষ করে আসছিল জয়নুরের স্বামী আবু বকর সানা। তার সুযোগ হাত ছাড়া হয়ে যাওয়ায় সে স্থানীয় এলাকাবাসির বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে।তারই ধারাবাহিকতায় জয়নুর বেগম বাদী হয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬ জনকে আসামী করে কয়রা থানায় ১ টি মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করে। যা ডাক্তারী পরীক্ষা নিরিক্ষাসহ পুলিশের সকল তদন্ত শেষে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হওয়ায় মামলার সকল আসামী অব্যহতি পায়। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন তার পক্ষে না হওয়ায় সু চতুর জয়নুর বেগম পুলিশ প্রশাসন সহ গ্রামবাসীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করার পাশিপাশি বিভিন্ন দপ্তরে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে হযরানী অব্যাহত রেখেছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, জয়নুর বেগম প্রায় ডজনখানিক মিথ্যা মামলা ও অভিযোগ দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক নিরহ মানুষকে হয়রানী করেছে।
এ সকল বিষয় তুলে ধরে তার শাস্তির দাবিতে ইতিমধ্যে ইউনিয়নটির জনপ্রতিনিধি ও শতাধিক গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত ১ টি লিখিত অভিযোগ রেঞ্জ ডিআইজি খুলনা বরাবর প্রেরন করেছে। সংবাদ সম্মেলনে গ্রামবাসী সু চতুর জয়নুর বেগমের হাত থেকে রেহাই পেতে প্রশাসন সহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছে। সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতিত গ্রামবাসীরা উপস্থিত ছিলেন।