ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা : কয়রার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের নিরাপদ ও সুপেয় পানির জন্য স্থাপিত রিং টিউবওয়েলগুলো দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় সে গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তা ছাড়া কিছু সংখ্যক টিউবওয়েল ভালো থাকলেও প্রচুর লবনাক্ততার কারনে কোমলমতি শিশুরা তা থেকে পানি নিয়ে পান করতে পারছেনা। যে কারনে বিদ্যালয় গুলোতে পানির সংকট রয়ে গেছে। বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে ব্যাবস্থা গ্রহন দাবি উঠছে সবত্রই। জানা গেছে কয়রা উপজেলার কিছু সংখ্যক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে সুপীয় পানি সংকট দেখা দিয়েছে। ঐ সকল এলাকায় কোমলমতি শিশুদের আর্সেনিক থেকে রক্ষার জন্য সরকার পিইডিপি- ২ প্রকল্পের আওতায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছর হতে আর্সেনিক মুক্ত রিং টিউবওয়েল বা ইদারাযুক্ত নলকুপ স্থাপন কাজ শুরু করে। সরকারি বরাদ্দে ঐ অর্থ বছরে প্রতিটি নলকুপ স্থাপনে প্রায় ১ লক্ষ টাকা করে খরচ করা হয়। কিন্তু যেনতেন ভাবে কাজ করায় টিউবওয়েল গুলো অকার্যকার হয়ে পড়ে আছে বলে ভুক্ত ভোগীরা অভিযোগ করেন। তথ্য মতে জানা গেছে, এ পর্যন্ত স্থাপিত টিউবওয়েল গুলোর মধ্যে মদিনাবাদ মডেল,গড়িয়াবাড়ি, মনোরমা, ৬নং কয়রা, কাশির খাল ধার, পাথর খালি, ৪নং কয়রা, ৩নং কয়রা, বতুল বাজার, খেজুর বাগ, সিদ্দিকিয়া, মঠবাড়ি, হায়েত খালি, উত্তরচক, হড্ডা ডি.এম, পল্লীমঙ্গল, চৌকুনী, কালীকাপুর, ভাগবা, গিলাবাড়ি সহ বিভিন্ন মাধ্যমিক ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নলকূপ গুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ সকল নলকূপ গুলো শিশুদের কোনো কাজে আসছে না। অনেক নলকুপে পানি ওঠে না আবার যে টায় উঠে পানি উঠলেও তা লবনাক্ততার কারনে পান করা সম্ভব হয় না। তাছাড়াও নলকূপ গুলো অনেক ঝুকিপূণ অবস্থায় রয়ের্ছে। কয়রা মনোরমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, খগেন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন,নলকূপ স্থাপন করার পর কিছু দিন ভালো ছিলো। তার পর থেকে পানি ওঠে না অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ ছাড়া নলকূপগুলোর স্থাপন করার সময় ত্রুটি ছিল। যত গভীর করার প্রয়োজন ছিল ততটা করা হয়নি। বর্ষা মৌসুমে কিছু দিন পানি থাকে। শুষ্ক মৌসুমে মোটেও পানি থাকে না। অতি কষ্টে কিছু পানি উঠলেও তা লবনাক্ততার কারনে পান করা যায় না বলে তিনি জানান। গড়িয়াবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুকুমার থান্দার বলেন,তার বিদ্যালয়ে ২০০৪ সালে একটি টিউবওয়েল বসালেও প্রচুর লবনাক্ত থাকায় কাজে আসছেনা। যে কারনে বাধ্য হয়ে হাত ও মুখ ধোয়ার কাজে ব্যবহার করছে শিক্ষার্থীরা। গড়িয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর অভিভাবক আসাদুল ইসলাম লস্কর জানান, বিদ্যালয়ের পানিতে সমস্যা থাকায় তিনি তার সন্তানের স্কুল ব্যাগে প্রতিদিন বোতলে করে পানি দিয়ে স্কুলে পাঠায়। এ রকম সমস্যা রয়েছে প্রায় সব বিদ্যালয়ে। এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবিএম নাজমুল হক বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সুপেয় পানির ব্যাবস্থা সংকট রয়েছে। উধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যাবস্থা গ্রহন করা যায় কিনা সে ব্যাপারে চেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে বলে অবিমত ব্যাক্ত করেন ।