ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা : ‘টেকনিক্যাল কাজ করি টেকনিক্যাল বেতন স্কেল চাই’এই স্লোাগান নিয়ে কয়রায় পদমর্যাদাসহ ৪ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন দাবি বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদ ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ কর্মবিরতি পালিত হচ্ছে। জানা যায়, বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা, মূল বেতনের ৩০ শতাংশ মাঠ-ভ্রমণ ভাতা, ঝুঁকি ভাতা, প্রতি ৬ হাজার জনসংখ্যার বিপরীতে একজন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ ও ১০ ভাগ পোষ্য কোটা প্রবর্তনের দাবিতে এ কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট করা হয়। ঘোষিত দাবি না মানা হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ও মহেশ্বরিপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ সহকারী মোঃ জোনায়েদ প্রতিবেদককে বলেন, ১৯৯৮ সালের ৬ ডিসেম্বর ঢাকা শেরেবাংলা নগরে স্বাস্থ্য সহকারীদের মহাসমাবেশে তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্য সহকারীদের বেতন স্কেলসহ টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ঘোষনা করলেও বিভিন্ন আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় আজও এ ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি। তারা অবিলম্বে টেকনিকেল বেতনস্কেল, মাঠ/ভ্রমন ভাতা ও ঝুকি ভাতা মুল বেতনের ৩০ ভাগ হারে, প্রতি ৬ হাজার জনগোষ্ঠীর জন্য ১জন স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগ এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শুন্যপদে নিয়োগ প্রদান এবং ১০ ভাগ পোষ্য কোটা প্রবর্তনের দাবী জানান। এ সময় কর্মসূচিতে অংশ নেন বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য ও কয়রা উপজেলা হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ জোনায়েদ, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ও কয়রা সদর ইউনিয়ন স্বাস্থ সহকারী উম্মে জয়নাব, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য মোঃ আলমগির হেসেনসহ অন্যান্য সাস্থ সহকারীরা।