কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি : কয়রা উপজেলা সৈনিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাকিল আহমেদ শাহীন বুধবার সকাল ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ১নং কয়রা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর সাবেক সভাপতি মোঃ আজিজুল ইসলাম গাজী গত ৯এপ্রিল সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার ও আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, দেওয়ান খালী বদ্ধ জলমহলটি বাংলা ১৪২২ সাল থেকে ১৪২৪ সাল পর্যন্ত ১নং কয়রা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিঃ এর অনুকুলে কতৃপক্ষ ইজারা প্রদান করেন। যার কেস নং-১৪/২০১৫। জলমহলটি ইজারা গ্রহিতা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনার জন্য ২০১৭ সালের ১৩ ডিসেম্বার ভূমি মন্ত্রানালয়ে আবেদন করেন। এরপর ভূমি মন্ত্রানালয় জেলা প্রশাসকের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে পাঠায়। জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য পত্র প্রেরন করলে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ারের মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করেন। প্রতিবেদনে জলমহল সংক্রান্ত হাইকোর্টের রিভিশন কেস নং-৩০২০/১৪ মামলার নিষেধাজ্ঞা চলমান থাকায় এবং যুগ্ম জেলা জজ চতুর্থ আদালতে ১৩২/১৫ নং মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সরকার পক্ষকে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা রয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করলে সমিতির সাবেক সভাপতি আজিজুল ইসলাম গাজী ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মোঃ মাহতাব হোসাইন ও আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন কল্প কাহিনী তৈরী করে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্য করতে সড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী ও সরকার বিরুদ্ধচারণ ব্যক্তি। যার ধারা বাহিকতায় উক্ত ব্যক্তি সার্ভেয়ার কে ঘুষ দেয়ার নাটক সাজিয়ে এবং আমাদেরকে ভূমি দস্যু বানানো হয়েছে। আমি সাংবাদিকদে লেখনির মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরার জোর দাবী জানাই।